ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মেরিন লে পেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (Opposition Leader Conviction) ছিল যে তিনি ফ্রান্সে তার রাজনৈতিক দলের হয়ে কর্মরত কর্মীদের বেতন দেওয়ার জন্য ইউরোপীয় পার্লামেন্টের অর্থ ব্যবহার করেছিলেন।
নির্বাচন লড়তে পারবেন না লে পেন (Opposition Leader Conviction)
প্যারিসের একটি আদালত কট্টর ডানপন্থী নেত্রী মেরিন লে পেনকে অর্থ তছরুপের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং তাকে পাঁচ বছরের জন্য যে কোনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা থেকে নিষিদ্ধ করেছে (Opposition Leader Conviction)। ফলে, ২০২৭ সালের ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি আর দাঁড়াতে পারবেন না। আদালতের সভাপতি বেনেডিক্ট ডে পার্থুইস রায় ঘোষণার সময় বলেন, “লে পেনের কাজ ইউরোপের গণতান্ত্রিক জীবনের নিয়মের উপর গুরুতর এবং দীর্ঘস্থায়ী আঘাত হেনেছে, বিশেষত ফ্রান্সে।” তবে, রায় সম্পূর্ণ পড়ে শোনানোর আগেই লে পেন আদালত ছেড়ে বেরিয়ে যান।
অর্থ তছরুপের অভিযোগ (Opposition Leader Conviction)
লে পেন বর্তমানে ফরাসি সংসদের সদস্য। তাকে এবং তার দলের আটজন ইউরোপীয় সংসদ সদস্য (MEP) ও ১২ জন সহকারীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে (Opposition Leader Conviction)। অভিযোগ, তারা ইউরোপীয় সংসদের অর্থ ব্যবহার করে ফ্রান্সে তার রাজনৈতিক দল ‘ন্যাশনাল র্যালি’ (RN)-এর জন্য কর্মচারীদের বেতন দিতেন।
প্যারিসের প্রসিকিউটর লে পেনের পাঁচ বছরের জেলের সাজা দাবি করেছিলেন, যার মধ্যে দুই বছর ছিল স্থগিত। পাশাপাশি, ৩,০০,০০০ ইউরো (প্রায় ৩.২৫ লাখ ডলার) জরিমানা এবং পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিষিদ্ধ করার আবেদনও জানানো হয়।
আরও পড়ুন: India Us Diplomacy: ভারত-আমেরিকার সম্পর্কের স্বর্ণযুগের আভাস ট্রাম্পের! কী কী নতুন পরিকল্পনা?
ফ্রান্সের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন
লে পেনের বিচার শেষে গত নভেম্বরেই ফ্রান্সের বর্তমান বিচারমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন X-এ পোস্ট করেন, “লে পেনকে নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা দেওয়া হলে তা অত্যন্ত হতাশাজনক হবে।” জনমত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, লে পেন ২০২৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এমানুয়েল মাক্রোঁর উত্তরসূরি হতে পারেন। মাক্রোঁ টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদে থাকতে পারবেন না।
লে পেনের প্রতি সমর্থন জানালেন ডানপন্থী নেতারা
লে পেনের দল RN দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের বর্ণবাদী ও ইহুদি-বিরোধী ভাবমূর্তি বদলানোর চেষ্টা করেছে, যাতে দলকে আরও গ্রহণযোগ্য করে তোলা যায়। তবে আদালতের এই রায়ের ফলে তার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কেরিয়ার নিয়ে বড় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: Nepal Protests: নেপালে রাজতন্ত্র ফেরানোর দাবি জোরালো, বাড়ছে ক্ষোভ!
এই রায়ের পরপরই হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান লে পেনকে সমর্থন জানিয়ে X-এ লিখেছেন, “Je suis Marine!” (আমি মেরিন!)। ইউরোপের অন্যান্য ডানপন্থী নেতারাও তার পাশে দাঁড়িয়েছেন।