ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ‘রিল দেখে সময় নষ্ট করলে নেতা বা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হওয়া সম্ভব নয়।’ তরুণদের এভাবেই সতর্ক করেছেন হায়দরাবাদের সাংসদ এবং এআইএমআইএম নেতা আসদুদ্দিন ওয়াইসি(Bihar Vote)। বিধানসভা নির্বাচনের আগেই ভোটার তালিকা নিয়ে বিহারে বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার (স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা এসআইআর) কাজ শুরু করেছে কমিশন। ভোটার তালিকা নিয়ে বিহারে বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার (স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা এসআইআর) কাজ ইতিমধ্যে শুরু করেছে কমিশন। এই আবহে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন ওয়াইসি।
সংবাদপত্র পড়ার আহ্বান (Bihar Vote)
রিল স্ক্রল করার বদলে সকলকে সংবাদপত্র পড়ার আহ্বান জানিয়ে ওয়াইসি বলেন, ‘রিল দেখে সময় নষ্ট করলে আপনি নেতা, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা বিজ্ঞানী হতে পারবেন না(Bihar Vote)। রিল দেখা কেবল মস্তিষ্ককে ধ্বংস করে এবং সময় নষ্ট করে।’ তিনি আরও বলেন, তাঁরা যদি রিলের মধ্যে ডুবে থাকেন, তাহলে বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও)-কে কী উত্তর দেবেন? তাঁর কথায়, ‘আমি বলতে চাইছি যে বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার নামে বিহারে যা ঘটছে, অনেক লোককে বাংলাদেশি, নেপালি এবং মায়ানমার থেকে বলা হচ্ছে… যদি একজন বিএলও আপনার কাছে আসেন, তাহলে আপনি তাদের প্রশ্নের উত্তর কীভাবে দেবেন?’

এসআইআর-র নেপথ্যে এনআরসি? (Bihar Vote)
স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন প্রসঙ্গে হায়দরাবাদের সাংসদ বলেন, ‘ভারতীয় নাগরিক কে, তা নির্ধারণের ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে কে দিয়েছে? আমাদের দলই প্রথম বলেছিল যে এসআইআর-র নেপথ্যে রয়েছে এনআরসি(Bihar Vote)।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘আমরা বিএলওদের সংখ্যা জানানোর দাবি করছি। আমরা আমাদের দলের সদস্যদের সেই বিএলওদের সঙ্গে দেখা করতে বলব এবং তাদের জিজ্ঞাসা করব যে নেপাল, মায়ানমার এবং বাংলাদেশের লোকেরা কোথায় যাদের কথা তারা বলছেন….।’

আরও পড়ুন-Pahalgam Attack: ‘ভারত সন্ত্রাসবাদকে বরদাস্ত করবে না!’ এসসিও বৈঠকে পাকিস্তানকে তুলোধোনা জয়শঙ্করের
বিহার নির্বাচন (Bihar Vote)
চলতি বছরের শেষের দিকে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে(Bihar Vote)। এছাড়া ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, পুদুচেরি, তামিলনাড়ু এবং কেরলেও ভোট রয়েছে। সামনে এতগুলি নির্বাচনের মুখে কমিশনের বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার উদ্যোগ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে বিহারের ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ সেরে ফেলতে চায় কমিশন। বিহারের ভোটারদের মধ্যে নির্দিষ্ট ফর্ম বিলি করা হয়েছে। তা পূরণ করে নথি-সহ জমা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট দফতরে। নথি হিসাবে দেখাতে হবে নিজের এবং বাবা-মায়ের জন্মের শংসাপত্র। আধার কার্ড বা রেশন কার্ডের মতো নথি এক্ষেত্রে বিবেচিত হবে না। আর এতেই আপত্তি তুলেছে বিরোধীরা।

আরও পড়ুন-Terrorists Fired in Air: পৈশাচিক উল্লাস! পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় বিস্ফোরক বয়ান প্রত্যক্ষদর্শীর