ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: উত্তরপ্রদেশের বিধানসভায় গুটখা এবং পানমশলা খাওয়া (Paan Masala Case) নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় বিধানসভায় কেউ গুটখা বা পানমশলা খেতে দেখলে ১,০০০ টাকা জরিমানা করা হবে। বিধানসভার অধ্যক্ষ সতীশ মাহানা এই সিদ্ধান্তের কথা জানানোর পর থেকেই বিতর্ক শুরু হয়েছে।
বিধায়কের কর্মকাণ্ড (Paan Masala Case)
সম্প্রতি বিধানসভায় এক বিধায়কের মেঝেতে গুটখার পিক ফেলার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর অধ্যক্ষের উষ্মাপ্রকাশের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া (Paan Masala Case) হয়। তিনি বলেন, “এক বিধায়ক পানমশলা খেয়ে কার্পেটের উপর পিক ফেলেছেন। আমি চাই তিনি ব্যক্তিগতভাবে আমার সঙ্গে দেখা করুন।” যদিও অধ্যক্ষ সরাসরি বিধায়কের নাম উল্লেখ করেননি, কিন্তু জানান যে তিনি ভিডিওতে সেই বিধায়ককে চিহ্নিত করেছেন। যদি তিনি নিজে দেখা করতে না আসেন, তাহলে অধ্যক্ষ তাঁকে তলব করবেন।
মেঝেতে গুটখার পিক (Paan Masala Case)
মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশনে অধ্যক্ষ দেখেন যে , মেঝেতে গুটখার পিক (Paan Masala Case) পড়েছে। তিনি সাফাইকর্মীদের নির্দেশ দেন সেখানকার কার্পেট পরিষ্কার করার জন্য। ওই ভিডিওটি সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি আরও বিতর্কিত হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন: S Jaishankar: কাশ্মীরের সমস্যার সমাধান করার সূত্র দিলেন জয়শঙ্কর?
ভবিষ্যতের হুঁশিয়ারি
অধ্যক্ষ আরও বলেন, “এক বিধায়কের জন্য কেন সকলকে অপমানিত হতে হবে?” তিনি বিধায়কদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, ভবিষ্যতে কেউ এমন কাজ করলে কার্পেট পরিষ্কারের খরচ তাঁর ভাতা থেকে কেটে নেওয়া হবে। এটি স্পষ্ট যে, পানমশলা ও গুটখা খাওয়ার অভ্যাস বিধায়কদের মধ্যে একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নিষেধাজ্ঞা
এছাড়া, অধ্যক্ষ এই বিষয়টিকে সমাধান করার জন্য অন্য বিধায়কদের কাছেও আবেদন জানান, যাতে কেউ গুটখা-পানমশলা খেয়ে থুতু ফেললে তাঁকে নিষেধ করতে পারেন।
সমালোচনার সূত্রপাত
এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে সমালোচনা চলছে। অনেকেই বলছেন, এই নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র নিয়মবিধির প্রয়োগ নয়, বরং বিধানসভার মর্যাদা রক্ষার একটি প্রচেষ্টা। অধ্যক্ষ সতীশ মাহানা বলেন, “আপনারা সভার মাননীয় সদস্য, সভার মর্যাদা রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের।”