ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের (Pahalgam Attack) বৈসরন উপত্যকায় পর্যটকদের উপর জঙ্গি হানার ঘটনায় গোটা দেশ যখন শোকস্তব্ধ, তখন পরিস্থিতি পর্যালোচনায় সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্র সরকার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় সংসদ ভবনে এই বৈঠক আয়োজিত হবে বলে সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এই বৈঠকে উপস্থিত দলনেতাদের ‘পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত’ করবেন বলে জানিয়েছেন নর্থ ব্লকের এক মুখপাত্র। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও থাকবেন বৈঠকে।
পাকিস্তানের সরকারি X অ্যাকাউন্ট বন্ধ (Pahalgam Attack)
এই সর্বদল বৈঠক এমন এক সময় ডাকা হল, যখন পহেলগাঁওয়ে প্রাণঘাতী (Pahalgam Attack) হামলার জেরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ছয় দফা কূটনৈতিক এবং নিরাপত্তাগত পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে মোদী সরকার। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে ভারতে পাকিস্তানের সরকারি X (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
জাতীয় সংকট (Pahalgam Attack)
বিরোধী কংগ্রেস দল এই ঘটনায় রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার (Pahalgam Attack) পথে হাঁটেনি। বরং দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, ‘‘এটা রাজনৈতিক বিবাদ নয়, জাতীয় সংকট। এখন সময় ঐক্যবদ্ধ হয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এই সময়ে ব্যর্থতার দিকে আঙুল তোলার থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল শান্তি ফিরিয়ে আনা এবং দোষীদের শাস্তি দেওয়া।’’
বিস্তারিত ফোনালাপ
খড়্গে এ-ও জানান যে হামলার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বিস্তারিত ফোনালাপ হয় এবং তখনই তিনি সর্বদলীয় বৈঠকের দাবি জানান। তাঁর মতে, সামনে অমরনাথ যাত্রা, আর তাই এখনই কড়া নিরাপত্তা ও সক্রিয় পদক্ষেপ জরুরি।
কংগ্রেসের দাবির প্রতি ইতিবাচক সাড়া
এই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের সর্বদল বৈঠক ডাকা কংগ্রেসের দাবির প্রতি ইতিবাচক সাড়া হিসেবেই দেখা হচ্ছে। রাজনৈতিক মহলে বলা হচ্ছে, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে কংগ্রেস সরকারের ইউপিএ আমলের মতো একতরফা দোষারোপ না করে বরং সংহতির বার্তা দেওয়াই সঠিক কৌশল হিসেবে নিচ্ছে খড়্গের দল।
জনমানসে পাকিস্তানবিরোধী আবেগ
তবে বিজেপির একাংশ মনে করছে, লশকর-ই-ত্যায়বার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’-এর এই হামলার পরে কংগ্রেস কার্যত ‘ধীরে চলো’ নীতি নিয়েছে, কারণ জনমানসে পাকিস্তানবিরোধী আবেগ ক্রমশ বাড়ছে। এদিকে গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, সীমান্তে প্রায় ১১৫ জন জঙ্গি ৪২টি লঞ্চ প্যাডে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। এমন সময় সর্বদলীয় ঐক্য কেবল রাজনৈতিক বার্তা নয়, কার্যকর নিরাপত্তা পদক্ষেপের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সর্বদলীয় বৈঠক কেন্দ্রের সদিচ্ছার প্রতীক—এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এখন দেখার, এই আলোচনা থেকে কী বাস্তব পদক্ষেপ উঠে আসে দেশের নিরাপত্তা জোরদারে।