ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কাশ্মীরের পহেলগামে ২২ এপ্রিলের ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর সাত দিন কেটে গেলেও হামলাকারীদের এখনও ধরতে পারেনি নিরাপত্তা বাহিনী (Pahalgam Attack)। ২৬ জন পর্যটকের প্রাণহানির এই ঘটনায় গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার একাধিক স্তরে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে।
হামলার পরিকল্পনা ও জঙ্গিদের পরিচয় (Pahalgam Attack)
হামলায় অংশ নেয় পাঁচজন জঙ্গি, যাদের মধ্যে দুইজন পাকিস্তানি এবং বাকি তিনজন স্থানীয় বাসিন্দা বলে জানা গেছে(Pahalgam Attack)। তারা আধুনিক অস্ত্র ও হেলমেট-মাউন্টেড ক্যামেরা ব্যবহার করে হামলা চালায়, যা তাদের পেশাদার প্রশিক্ষণের ইঙ্গিত দেয়। জঙ্গিদের মধ্যে অন্তত দুইজনের পরিচয় প্রকাশ পেয়েছে—আসিফ ফৌজি ও সুলেমান শাহ। তাদের স্কেচ প্রকাশ করেছে নিরাপত্তা বাহিনী, তবে এখনও পর্যন্ত তাদের অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি। হামলার পর নিরাপত্তা বাহিনী ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করে এবং ১,৫০০-র বেশি ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। তবে এখনও পর্যন্ত জঙ্গিদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রীয় সরকার (Government Of India) পহেলগাম অঞ্চলে স্থায়ী সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে, বিশেষ করে আসন্ন অমরনাথ যাত্রাকে কেন্দ্র করে।
গোয়েন্দা ব্যর্থতা ও নিরাপত্তা ঘাটতি(Pahalgam Attack)
হামলার কয়েক দিন আগে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর থেকে একটি হুমকির ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও তা যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। বৈসরান উপত্যকা, যেখানে হামলা ঘটে, সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল না, যা জঙ্গিদের জন্য সুবিধাজনক হয়েছিল।

আরও পড়ুন: Nawaz Sharif On Pahalgam : ক্ষুব্ধ ভারতকে শান্ত করতে ভাই শাহবাজকে কী পরামর্শ দিলেন নওয়াজ শরীফ?
অনুসন্ধান ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা(Pahalgam Attack)
হামলার পর নিরাপত্তা বাহিনী ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করে এবং ১,৫০০-র বেশি ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। তবে এখনও পর্যন্ত জঙ্গিদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রীয় সরকার পহেলগাম অঞ্চলে স্থায়ী সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে, বিশেষ করে আসন্ন অমরনাথ যাত্রাকে কেন্দ্র করে।

আরও পড়ুন: US On Pahalgam : এক সুরে চিন-আমেরিকা! পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর কাছাকাছি দুই “সুপার পাওয়ার”?
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও কূটনৈতিক উত্তেজনা(Pahalgam Attack)
ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই হামলার পেছনে থাকার অভিযোগ এনেছে এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে ইন্দাস জলচুক্তি স্থগিত করেছে, পাকিস্তানি কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে এবং সীমান্ত বন্ধ করেছে (Pahalgam Attack)। পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে, যার ফলে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। পহেলগাম হামলা কাশ্মীরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার গুরুতর দুর্বলতা প্রকাশ করেছে। জঙ্গিদের এখনও পর্যন্ত না ধরা পড়া এবং গোয়েন্দা তথ্যের ঘাটতি ভবিষ্যতে এমন হামলার আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থার পুনর্মূল্যায়ন ও গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের দক্ষতা বৃদ্ধি এখন সময়ের দাবি।