ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিরীহ পর্যটকের মৃত্যুর রেশ কাটতে না কাটতেই ফের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে নিয়ন্ত্রণরেখা (LoC) সংলগ্ন অঞ্চলের গোয়েন্দা রিপোর্ট (Pahalgam Attack)। প্রকাশিত একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের (PoK) অন্তত ৪২টি ‘লঞ্চ প্যাডে’ বর্তমানে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় ১১৫ জন প্রশিক্ষিত জঙ্গি।
গোয়েন্দা রিপোর্ট (Pahalgam Attack)
২০১৬ সালের উরি হামলার পর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক কিংবা ২০১৯ সালের পুলওয়ামা ঘটনার পর বালাকোটে বিমান হানার মতো কঠোর পদক্ষেপ সত্ত্বেও, সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গি পরিকাঠামো সক্রিয় থাকার প্রমাণ এই রিপোর্ট নতুন করে তুলে ধরেছে (Pahalgam Attack)।গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, ৭৭৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এলওসির ওপারে প্রায় ১৩০ জন প্রশিক্ষিত জঙ্গি ছড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন ঘাঁটিতে। লশকর-এ-ত্যায়বা, জইশ-ই-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদিন, TRF-এর মতো সংগঠনগুলির একাধিক প্রথম সারির কমান্ডারও সেখানেই রয়েছে বলে খবর। এদের সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীর উপত্যকায় সক্রিয় ‘হ্যান্ডলার’দের নিয়মিত যোগাযোগ বজায় থাকছে।
৭৫ জন জঙ্গির ভারতে প্রবেশ (Pahalgam Attack)
ইতিমধ্যেই গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, অন্তত ৭৫ জন জঙ্গি এলওসি পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে এবং দক্ষিণ কাশ্মীর, রাজৌরি, পুঞ্চ-সহ বিভিন্ন এলাকায় সক্রিয় রয়েছে (Pahalgam Attack)। এরই মধ্যে পহেলগাঁও হামলার ঘটনায় জড়িত জঙ্গিদের একটি দলকেও পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশকারী বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। স্থানীয় দুই জঙ্গির সহায়তায় তারা এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান।

সার্জিক্যাল স্ট্রাইক (Pahalgam Attack)
পশ্চিম সীমান্তে অতীতেও ভারত (Narendra Modi) কড়া বার্তা দিয়েছে। ২০১৬ সালে উরি সেনাঘাঁটিতে জইশ জঙ্গিদের হামলার পরে ভারতীয় সেনার ‘প্যারা এসএফ’ কমান্ডোরা ভিমবার, হটস্প্রিং, লিপা এবং কেল সেক্টরের লঞ্চ প্যাডগুলোতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছিলেন। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর ভারতের প্রতিক্রিয়ায় বালাকোটে লশকরের প্রশিক্ষণ শিবিরে এয়ারস্ট্রাইক চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা।পরবর্তী সময়েও টংধর, কেরান, নীলম উপত্যকায় সীমান্ত পেরিয়ে একাধিক অপারেশন চালায় সেনা। বিশেষজ্ঞদের মতে, পহেলগাঁও হামলা সেই ধাঁচের আরেকটি প্রত্যাঘাতের ইঙ্গিত হতে পারে।

ভারতের কড়া কূটনৈতিক অবস্থান (Pahalgam Attack)
অন্যদিকে, ভারতের কড়া কূটনৈতিক অবস্থান ইতিমধ্যেই ইসলামাবাদকে (Shehbaz Sharif) অস্বস্তিতে ফেলেছে। নয়াদিল্লির নিষেধাজ্ঞা ও পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান নিজেদের ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছে, যদিও TRF-এর দায় স্বীকার এবং এলওসির ওপারে জঙ্গি ঘাঁটি সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য এই দাবিকে খাটো করছে।দেশের অভ্যন্তরে নিরাপত্তা প্রস্তুতি জোরদার হয়েছে। নিয়ন্ত্রণরেখায় নজরদারি ও ‘অ্যান্টি ইনফিলট্রেশন গ্রিড’ আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে। তবে প্রশ্ন একটাই—পহেলগাঁও হামলার জবাব কি ফের এলওসি পেরিয়ে?