ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর আন্তর্জাতিক (Pahalgam Attack) মহলে আবারও সরগরম হয়ে উঠেছে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক। ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের বৈসরন উপত্যকায় পর্যটকদের উপর হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন, যাদের মধ্যে ২৫ জনই ছিলেন পর্যটক। এই ঘটনার পর ভারতের আঙুল ছিল সরাসরি পাকিস্তানের দিকে, এবং কেন্দ্র সরকার একের পর এক কড়া পদক্ষেপ নেয়, সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত, পাকিস্তানের নাগরিকদের ভিসা বাতিল এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কের উপরও প্রভাব পড়ে।
পাকিস্তানের দাবিকে সমর্থন জানাল চিন (Pahalgam Attack)
এমন পরিস্থিতিতে এবার পাকিস্তানের দাবিকে সমর্থন জানাল (Pahalgam Attack) চিন। রবিবার চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার-এর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন এবং পহেলগাঁও হামলা নিয়ে চিনের অবস্থান স্পষ্ট করেন। ওয়াং ই বলেন, পাকিস্তান যেভাবে নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানিয়েছে, তা চিনের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছে। পাশাপাশি তিনি জানান, সন্ত্রাসবাদ বিরোধী লড়াইয়ে পাকিস্তানের অবস্থানকেও সমর্থন করছে বেজিং।
সমস্যা মেটানোই সবচেয়ে জরুরি (Pahalgam Attack)
চিনের সরকারি মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিন মনে করে ভারত ও পাকিস্তানের (Pahalgam Attack) মধ্যে উত্তেজনা কেবল কাশ্মীর অঞ্চলের শান্তিকে বিঘ্নিত করে এবং দুই দেশের কারও পক্ষেই তা লাভজনক নয়। বরং সংলাপ ও কূটনীতির মাধ্যমে সমস্যা মেটানোই এখন সবচেয়ে জরুরি।
রাজনৈতিক ফায়দা তোলার উদ্দেশ্যেই অভিযোগ
ভারত যদিও হামলার দায় পুরোপুরি পাকিস্তানের উপর চাপিয়ে দিয়েছে, ইসলামাবাদ শুরু থেকেই তা অস্বীকার করে আসছে। তাদের দাবি, ভারতের গোয়েন্দা ব্যর্থতা এবং রাজনৈতিক ফায়দা তোলার উদ্দেশ্যে এই অভিযোগ তোলা হচ্ছে। পাশাপাশি পাকিস্তান এই ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে—চিন, রাশিয়া এবং পশ্চিমি দেশগুলির সামনে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে।
জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা
এই ঘটনার পরে আমেরিকা সহ বহু পশ্চিমি দেশ ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি ভারতকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ওয়াশিংটন দিল্লির পাশে রয়েছে। এই প্রেক্ষিতে চিনের অবস্থান কূটনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।
স্থিতিশীলতা এবং শান্তিকেই প্রাধান্য
চিনের এই অবস্থান আরও একবার প্রমাণ করল, দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণে পাকিস্তান তাদের পুরনো বন্ধু হিসেবেই জায়গা ধরে রেখেছে। একই সঙ্গে বেজিং ভারত ও পাকিস্তান, উভয় দেশকেই সংযত আচরণের বার্তা দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে, তারা স্থিতিশীলতা এবং শান্তিকেই প্রাধান্য দিতে চায়।