ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পহেলগাঁও কাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বড় সাফল্য পেল ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী (Pahalgam Terror Attack)। গত ৪৮ ঘণ্টায় জম্মু-কাশ্মীরের সোপিয়ান এবং পুলওয়ামায় চালানো দু’টি পৃথক জঙ্গিদমন অভিযানে ছয় জন সশস্ত্র জঙ্গিকে নিকেশ করেছে সেনা, সিআরপিএফ এবং রাজ্য পুলিশ। অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে—‘অপারেশন কেলার’ এবং ‘অপারেশন নাদের’। সেনার (INDIAN ARMY) তরফে জানানো হয়েছে, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অত্যন্ত কৌশলে এই অভিযান দুটি পরিচালিত হয়েছে।
প্রথম অভিযান কোথায়? (Pahalgam Terror Attack)
প্রথম অভিযানটি হয় দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ানে(Pahalgam Terror Attack)। গত ১২ মে, কেলারের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় জঙ্গিদের উপস্থিতি সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য সূত্রে তথ্য পায় গোয়েন্দারা। এর ভিত্তিতে ১৩ মে সকাল থেকেই শুরু হয় ‘অপারেশন কেলার’। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, গুলি বিনিময়ের পর তিন জন জঙ্গি নিহত হয়। নিহতদের নাম—শাহিদ কুট্টে, আদনান শফি দার এবং এহসান আহমেদ শেখ। এদের তিন জনেরই যোগ ছিল লস্কর-ই-তইবা জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে। স্থানীয়ভাবে সক্রিয় এই জঙ্গিরা সম্প্রতি বেশ কিছু হামলার ছক কষছিল বলে খবর।
দ্বিতীয় অভিজান কোথায়? (Pahalgam Terror Attack)
দ্বিতীয় অভিযানটি চালানো হয় ১৫ মে, পুলওয়ামার ত্রাল এলাকার এক সীমান্তবর্তী গ্রামে(Pahalgam Terror Attack)। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, একটি নির্দিষ্ট বাড়িতে কয়েকজন জঙ্গি আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা যায়। এরপরই তৎপর হয় সেনা ও পুলিশ। পুরো গ্রাম ঘিরে ফেলে শুরু হয় ‘অপারেশন নাদের’। মেজর জেনারেল ধনঞ্জয় জোশী জানান, বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে জঙ্গিরা প্রথমে গুলি চালাতে শুরু করে। সেনাও পাল্টা জবাব দেয়। দীর্ঘক্ষণ সংঘর্ষের পরে তিন জঙ্গিকে নিকেশ করা সম্ভব হয়। তাদের নাম—আসিফ আহমেদ শেখ (২৮), আমির নাজির ওয়ানি (২০), এবং ইয়াওয়ার আহমেদ ভাট। তিন জনই পুলওয়ামার বাসিন্দা। আসিফ ছিল জইশ-ই-মহম্মদের অবন্তীপোরা জেলা কমান্ডার। ২০২২ সাল থেকে সে সক্রিয় ছিল। বাকি দুই যুবকও ২০২৪ সাল থেকে জঙ্গি কার্যকলাপে জড়িত ছিল।

সেনা ও পুলিশ কী জানালো? (Pahalgam Terror Attack)
অভিযান চলাকালীন গ্রামবাসীদের নিরাপত্তা ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ(Pahalgam Terror Attack)। সেনা সূত্রে বলা হয়েছে, জঙ্গিরা প্রায়শই মানবঢাল হিসেবে সাধারণ মানুষকে ব্যবহার করার চেষ্টা করে। তাই অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে তাদের অবস্থান চিহ্নিত করে গুলি চালানো হয়েছে।কাশ্মীর জোনের পুলিশকর্তা ভিকে বিরদি বলেন, “সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই অভিযান দুটি চালানো হয়। সেনা, পুলিশ এবং সিআরপিএফ-এর পারস্পরিক সমন্বয়ের ফলেই এই সাফল্য এসেছে।” তাঁর দাবি, এই অভিযানের মাধ্যমে উপত্যকায় সক্রিয় দুটি গুরুত্বপূর্ণ জঙ্গি সংগঠনের নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

সেনার লক্ষ্য কী? (Pahalgam Terror Attack)
সেনা জানিয়েছে, উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ সম্পূর্ণ নির্মূল করাই তাদের মূল লক্ষ্য(Pahalgam Terror Attack)। আর এই ধরনের লক্ষ্যভিত্তিক, পরিকল্পিত অভিযানে তারই পথ সুগম হচ্ছে। গোটা কাশ্মীর জুড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে।শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, ওই এলাকায় চিরুনি তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।