ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : পহেলগাঁও হামলার পর তৈরি হওয়া ১৪ জন স্থানীয় জঙ্গির ‘হিট লিস্ট’ থেকে ৬ জনকে নিকেশ করল সেনাবাহিনী (Pahalgam Terror Attack)। জম্মু-কাশ্মীরের সোপিয়ান ও ত্রাল-এ গত তিন দিনে টানা সেনা অভিযানে এই সাফল্য এসেছে বলে জানানো হয়েছে সেনা সূত্রে। এখনও তালিকায় থাকা আরও ৮ জন জঙ্গিকে ধরতে তল্লাশি চলছে কাশ্মীর উপত্যকা জুড়ে।
কী হয়েছিল পহেলগাঁও কাণ্ডে? (Pahalgam Terror Attack)
সম্প্রতি কাশ্মীরের পহেলগাঁও এলাকায় সেনা কনভয়ের উপর সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানো হয় (Pahalgam Terror Attack)। এই হামলার পরেই গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ১৪ জন স্থানীয় জঙ্গির একটি বিশেষ তালিকা তৈরি করে নিরাপত্তা বাহিনী। ওই তালিকায় থাকা বেশ কয়েকজন জঙ্গির বাড়ি চিহ্নিত করে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় এবং শুরু হয় ব্যাপক তল্লাশি অভিযান।
সোপিয়ানে ‘অপারেশন কেলার’, নিহত ৩ লশকর জঙ্গি (Pahalgam Terror Attack)
সোমবার রাতে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর (INDIAN ARMY) যৌথ উদ্যোগে সোপিয়ান জেলার একটি এলাকায় জঙ্গিদের উপস্থিতি চিহ্নিত করা হয় (Pahalgam Terror Attack)। পরদিনই শুরু হয় অপারেশন কেলার। গুলির লড়াইয়ে নিহত হয় তিন লশকর-ই-তৈবা জঙ্গি। তাদের পরিচয়,
- শাহিদ কুট্টে
- আদনান শফি দার
- এহসান আহমেদ শেখ

আরও পড়ুন: IMF Loan For Bangladesh : আইএমএফ- থেকে ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ! ১৩০ কোটি ডলার ঋণ পেতে আশাবাদী ইউনূস সরকার
ত্রালে ‘অপারেশন নাদের’, নিহত ৩ জইশ জঙ্গি (Pahalgam Terror Attack)
বৃহস্পতিবার ত্রাল এলাকায় শুরু হয় সেনার অপারেশন নাদের (Pahalgam Terror Attack)। এই সংঘর্ষেও তিন জন জঙ্গি নিহত হয়, যারা জইশ-ই-মহম্মদ গোষ্ঠীর সদস্য বলে দাবি সেনার। নিহতরা হলেন,
- আসিফ আহমেদ শেখ (২৮): অবন্তীপোরার জইশ জেলা কমান্ডার, ২০২২ থেকে সক্রিয়
- আমির নাজ়ির ওয়ানি (২০): ২০২৪ থেকে জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত
- ইয়াওয়ার আহমেদ ভাট: ২০২৪ সাল থেকেই পুলওয়ামায় সক্রিয়
তিনজনেই পুলওয়ামার বাসিন্দা এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসমূলক হামলায় জড়িত ছিল বলে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: Several Dies in Gaza Strip : পর পর বোমার্বষণ দক্ষিণ গাজ়ায়! রাতভর হামলায় মৃত অন্তত ৫৪
পরবর্তী পদক্ষেপ (Pahalgam Terror Attack)
সেনা জানিয়েছে, বাকি ৮ জন হিট লিস্টভুক্ত জঙ্গির খোঁজে কাশ্মীরের নানা এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চলছে। সূত্রের খবর, এদের মধ্যে কেউ কেউ পাকিস্তান-ঘনিষ্ঠ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত এবং অতীতেও বহু হামলার পরিকল্পনায় অংশ নিয়েছিল।
সেনা ও প্রশাসনের অবস্থান (Pahalgam Terror Attack)
- প্রশাসনের তরফে স্পষ্ট করা হয়েছে, স্থানীয় সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বজায় থাকবে।
- প্রয়োজন হলে ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া, নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন করা, এমনকি আর্থিক লেনদেনের উপরও নজরদারি চালানো হবে।
কাশ্মীরে জঙ্গি দমন অভিযান যে আরও কঠোর ও টার্গেটেড হচ্ছে, সোপিয়ান ও ত্রালের এই দু’টি অভিযান তার পরিষ্কার উদাহরণ। সেনার মতে, হিট লিস্টে থাকা জঙ্গিরা স্থানীয় হলেও আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখত এবং কৌশলগতভাবে বিপজ্জনক হয়ে উঠছিল। সেনা সূত্র বলছে, এই অভিযান চলবে যতক্ষণ না শেষ ব্যক্তি ধরা পড়ছে— “Target is complete elimination.”