ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Terror Attack) পর্যটকদের উপর নারকীয় জঙ্গিহানার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের কড়া প্রতিক্রিয়া দেখাল নিরাপত্তা বাহিনী। এবার বান্দিপোরার কুলনার বাজিপোরা এলাকায় সেনা অভিযানে মৃত্যু হল লশকর-এ-তইবার শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার আলতাফ লাল্লির। বৃহস্পতিবার রাতে শুরু হওয়া গুলির লড়াইয়ে ওই কুখ্যাত জঙ্গিকে খতম করা হয় বলে সেনা সূত্রের খবর।
আচমকা সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি (Pahalgam Terror Attack)
সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালায় (Pahalgam Terror Attack) সেনা। গোপনে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের খোঁজে বান্দিপোরার নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। সেই সময় আচমকা সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাবে আলতাফ লাল্লিকে নিকেশ করে নিরাপত্তা বাহিনী। দীর্ঘদিন ধরেই আলতাফকে ধরার চেষ্টা চলছিল। কাশ্মীর পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “এই সফল অভিযান কাশ্মীর উপত্যকায় জঙ্গিদমন অভিযানে এক বড় সাফল্য।”
হামলার সঙ্গে সরাসরি যোগসূত্র (Pahalgam Terror Attack)
জানা গিয়েছে, আলতাফ (Pahalgam Terror Attack) শুধু লশকরের নয়, পহেলগাঁও হামলায় জড়িত ‘দ্য রেজ়িস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (আরটিএফ)-এর সঙ্গেও যুক্ত ছিল। সম্প্রতি পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর চালানো হামলার সঙ্গে তার সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে বলেও পুলিশের দাবি। ওই হামলায় মৃত্যু হয় অন্তত ২৬ জনের, যাদের মধ্যে ২৫ জনই ছিলেন পর্যটক। স্থানীয় সূত্রগুলির দাবি, নিহতের সংখ্যা ২৮-এর কাছাকাছি হতে পারে।
জঙ্গিদমন অভিযান
এই ঘটনার পরেই উপত্যকা জুড়ে শুরু হয় জঙ্গিদমন অভিযান। ইতিমধ্যেই অনন্তনাগে দুই সন্দেহভাজন লশকর জঙ্গির বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার তালিকায় যোগ হল আরেক মোস্ট ওয়ান্টেড কমান্ডারের মৃত্যু।

নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন
উল্লেখযোগ্যভাবে, পহেলগাঁও হামলার ঠিক পরেই পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে ভারতবিরোধী নানা পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার রাত থেকে নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে পাক সেনার গুলিবর্ষণ শুরু হয়। এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে লশকর জঙ্গিরা ফের সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে বলে ধারণা গোয়েন্দাদের।
গোয়েন্দা রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ
অন্যদিকে, গোয়েন্দা রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৪২টি লঞ্চ প্যাডে প্রায় ১১৫ জন জঙ্গি অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। ফলে উপত্যকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও সঙ্কটজনক হয়ে উঠতে পারে।
সেনা সূত্রের মতে, এই মুহূর্তে জঙ্গি নেটওয়ার্কের মূল মাথাদের নিশানা করেই চলছে অভিযান। সীমান্ত পেরিয়ে আসা প্রশিক্ষিত জঙ্গিদের পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে সক্রিয় এজেন্টদেরও চিহ্নিত করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পহেলগাঁও হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারত যে এবার আর নরম নয়, তা বুঝিয়ে দিচ্ছে একের পর এক আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ।