ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যুর পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে উঠেছে (Pahalgam Terrorist Attack)। এই অবস্থায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে আন্তর্জাতিক মহল। পরিস্থিতির দিকে সতর্ক নজর রাখছে বিভিন্ন দেশ। রবিবার পাকিস্তানের ‘বন্ধু’ চিন স্পষ্ট করেছে, তারা পহেলগাম হামলার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিকে সমর্থন করে।
চিন ও পাক বিদেশমন্ত্রীর আলোচনা (Pahalgam Terrorist Attack)
চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইশহাক দারের সঙ্গে আলোচনায় জানান, দু’দেশের উচিত সংযম দেখানো এবং উত্তেজনা প্রশমনের জন্য উদ্যোগ নেওয়া (Pahalgam Terrorist Attack)। চিনের সরকারি মুখপত্র ‘গ্লোবাল টাইমস’ এই সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করেছে।
ভারত ও ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী ফোনে কথা (Pahalgam Terrorist Attack)
ভারতও কূটনৈতিক স্তরে সক্রিয় হয়েছে(Pahalgam Terrorist Attack)। ব্রিটিশ বিদেশমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির(David Lammy) সঙ্গে ফোনে কথা বলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (Dr. S. Jaishankar)। পরে ল্যামি পাকিস্তানের সঙ্গেও আলাপচারিতা করেন। বিশ্লেষকদের মতে, ভারত পহেলগাম হামলার ঘটনাকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরে পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়াতে সচেষ্ট হয়েছে।

ইরান ও পাক প্রধানমন্ত্রীর ফোনালাপ(Pahalgam Terrorist Attack)
এই পরিস্থিতিতে ইসলামাবাদ ইরানের মধ্যস্থতার প্রস্তাব কার্যত গ্রহণ করেছে(Pahalgam Terrorist Attack)। ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেকশিয়ানের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপের পর পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) ইরানের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে পহেলগাম হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করা হলেও, পাকিস্তান ও চিনের সক্রিয় প্রচেষ্টায় প্রস্তাবের ভাষা তুলনামূলকভাবে নরম হয়েছে বলে কূটনৈতিক সূত্রের খবর। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার সময়ে যে রকম কড়া ভাষায় নিন্দা হয়েছিল, পহেলগামের প্রস্তাবে তা হয়নি।

সরাসরি যুদ্ধের হুমকি (Pahalgam Terrorist Attack)
উত্তেজনার আবহে পাক মন্ত্রী হানিফ আব্বাসি ভারতের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধের হুমকি দিয়েছেন(Pahalgam Terrorist Attack)। তাঁর দাবি, পাকিস্তানের গোপন ডেরাগুলিতে ১৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের দিকে তাক করে রাখা হয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, “ভারত যদি সিন্ধুর জল সরবরাহ বন্ধ করে, তবে যুদ্ধ অনিবার্য। আমরা সেই প্রস্তুতিতে আছি।” উল্লেখ্য, পহেলগাম হামলার পর ভারত সিন্ধু জলচুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। সিন্ধুর জলের উপর পাকিস্তানের কৃষিভিত্তিক অঞ্চলের ব্যাপক নির্ভরতা রয়েছে। জল সরবরাহ বন্ধ হলে খাদ্য সংকটের আশঙ্কা করছেন সে দেশের কৃষক ও জনসাধারণ।
হানিফ আব্বাসির দাবি (Pahalgam Terrorist Attack)
হানিফ আব্বাসি আরও দাবি করেন, “এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি কেবল প্রদর্শনীর জন্য নয়, প্রয়োগের জন্য রাখা হয়েছে। পাকিস্তানের সামরিক শক্তির ভয়েই ভারত এখনও বড়সড় হামলা চালাতে সাহস দেখায়নি।”এদিকে লন্ডনে পাকিস্তানি দূতাবাসে হামলার জন্যও ভারতের দিকেই আঙুল তুলেছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লা তারার অভিযোগ করেছেন, ভারতীয় সংস্থার উস্কানিতেই লন্ডনে পাক দূতাবাসে দু’বার হামলা হয়েছে।সব মিলিয়ে, পহেলগাম হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে নতুন করে তিক্ততা ও সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশ্বমহল এখন নজর রাখছে — উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে নাকি আরও খারাপের দিকে এগোয়।