ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি দূতাবাস (Pak Islamic Solidarity Bid) মালয়েশিয়ার কর্মকর্তাদের ভারতীয় প্রতিনিধিদলের কর্মসূচি বাতিল করার জন্য অনুরোধ করেছিল, কিন্তু তা কার্যকর হয়নি।
ভারত-বিরোধী প্রচেষ্টায় ব্যর্থ পাকিস্তান, মালয়েশিয়া দিল সম্পূর্ণ সমর্থন (Pak Islamic Solidarity Bid)
ভারতীয় প্রতিনিধিদলের মালয়েশিয়া সফর আটকাতে পাকিস্তান বারবার চেষ্টা করেছিল (Pak Islamic Solidarity Bid)। ইসলামিক সংহতির নাম তুলে এই সফর বাতিল করতে মালয়েশিয়ার উপর চাপ সৃষ্টি করেছিল ইসলামাবাদ। কিন্তু মালয়েশিয়া স্পষ্টভাবে এই হস্তক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে জানা গিয়েছে। কুয়ালালামপুরে অবস্থিত পাকিস্তানের দূতাবাস মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষকে ভারতের সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করার অনুরোধ জানিয়েছিল। কিন্তু সেই চেষ্টা সফল হয়নি। বরং ভারতীয় প্রতিনিধিদল মালয়েশিয়ার তরফ থেকে পূর্ণ সমর্থন পেয়েছে। সফরের প্রতিটি কর্মসূচিই নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন হয়েছে। এই ঘটনাকে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে পাকিস্তানের জন্য বড় অপমান হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
ভারতীয় প্রতিনিধিদলে ছিলেন সব রাজনৈতিক দলের নেতা (Pak Islamic Solidarity Bid)
এই সফরের নেতৃত্ব দেন জনতা দল (ইউ)-এর সাংসদ সঞ্জয় ঝা (Pak Islamic Solidarity Bid)। প্রতিনিধিদলে ছিলেন বিজেপি সাংসদ অপরাজিতা সারঙ্গি, ব্রিজ লাল, প্রদান বরুয়া ও হেমাং জোশি, তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সিপিএম-এর জন ব্রিটাস, কংগ্রেসের সলমন খুরশিদ ও প্রাক্তন কূটনীতিক মোহন কুমার। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, পাকিস্তান এই সফর বানচাল করতে কাশ্মীর ইস্যু তোলে। কিন্তু তাতে কোনও প্রভাব পড়েনি।
সাত দেশের মধ্যে মালয়েশিয়া ছিল একটি, সফরের উদ্দেশ্য পাকিস্তানের জঙ্গি যোগ ফাঁস করা
মালয়েশিয়া ছাড়াও ভারতীয় প্রতিনিধিদল ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও সিঙ্গাপুর সফর করে। এই দলটি ছিল সাতটি বিদেশ সফররত দলের মধ্যে একটি, যারা ভারতের মাটিতে পাকিস্তানের জঙ্গি হামলার ভূমিকা তুলে ধরতে বিদেশে গিয়েছিল। ২২ এপ্রিল পাহেলগামে ২৭ জন নিরীহ মানুষ নিহত হওয়ার পর এবং অপারেশন সিঁদুর চালানোর পর ভারতের অবস্থান বিশ্বের কাছে স্পষ্ট করতেই এই সফর।
আজ ভারতে ফিরে এসে সঞ্জয় ঝা সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে বলেন, “আমরা জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া সফর করেছি। এই সফর থেকে চার-পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে এসেছে। প্রথমত, সরকার-সমর্থিত এই সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গোটা দেশ ঐক্যবদ্ধ। দ্বিতীয়ত, বিশ্বের সব দেশই পাহেলগাম হামলার তীব্র নিন্দা করেছে ও ২৬ জন শহিদকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে। তৃতীয়ত, ভারত শুধু জঙ্গি শিবির ও ঘাঁটি টার্গেট করেই সীমিত ও নিখুঁতভাবে হামলা চালিয়েছে। চতুর্থত, কাশ্মীরে আবার বিমান চলাচল শুরু হয়েছে এবং মন্ত্রিসভার বৈঠকও পাহেলগামে হয়েছে পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য। আমরা চাই, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে FATF যেন কড়া পদক্ষেপ নেয়। এই সফর সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একটি দৃঢ় বার্তা পাঠিয়েছে।”
সিপিএম, বিজেপির নেতারাও দিলেন বক্তব্য
সিপিএম নেতা জন ব্রিটাস বলেন, “আমাদের মিশন ছিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়ে সচেতনতা তৈরি করা এবং সবাইকে বোঝানো যে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের পাশে থাকা প্রয়োজন।” বিজেপি সাংসদ অপরাজিতা সারঙ্গি বলেন, “ভালো লাগছে দেশে ফিরে। গত ১৪ দিনে আমরা পাঁচটি দেশ সফর করেছি। একটা বিষয় স্পষ্ট— প্রতিটি দেশ ভারতের পাশে রয়েছে এবং সন্ত্রাসবাদের কঠোর বিরোধিতা করছে।”
আরও পড়ুন: Bilawal Bhutto Zardari: ‘কাশ্মীরের স্বার্থে আমরা…,’ পাকিস্তানের ব্যর্থতার কথা স্বীকার বিলাওয়ালের
পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক স্তরে ধাক্কা দিল ভারত, সফর সফল
এই সফরের মাধ্যমে পাকিস্তানকে কূটনৈতিক ভাবে একঘরে করার পথে এক ধাপ এগোল ভারত। বিশ্বের কাছে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট হল—সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশ কোনও আপস করবে না। আর পাকিস্তানের চেষ্টা চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হল।