ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পাকিস্তানের হাতে থাকা পরমাণু অস্ত্র বিশ্বের জন্য হুমকি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ (Pakisatan Nuke)। বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের শ্রীনগরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর চিনার কর্পসের সদর দফতরে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তায় তিনি বলেন, “পাকিস্তান এক দায়িত্বজ্ঞানহীন ও দুর্বৃত্তপরায়ণ রাষ্ট্র। এমন দেশের হাতে পরমাণু অস্ত্র থাকা গোটা মানবজাতির পক্ষেই বিপজ্জনক।”
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথের প্রশ্ন (Pakisatan Nuke)
তিনি প্রশ্ন তোলেন, “এই ধরনের দেশ যদি পরমাণু অস্ত্রের মালিক হয়, তবে তা কি বিশ্বশান্তির পক্ষে নিরাপদ? আমার মতে, একেবারেই নয় (Pakisatan Nuke)। তাই পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সির (IAEA) কড়া নজরদারির আওতায় আনা উচিত।” উল্লেখ্য, IAEA একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা যা পারমাণবিক প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের তদারকি করে এবং অস্ত্র বিস্তার রোধে কাজ করে। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্য আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়ছে (Pakisatan Nuke)
গত কয়েক বছরে পাকিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিরতা, সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ এবং অর্থনৈতিক সংকটের কারণে বিশ্বমঞ্চে ইসলামাবাদের ভাবমূর্তি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে (Pakisatan Nuke)। তার উপর দেশের অভ্যন্তরে ক্রমবর্ধমান মৌলবাদী গোষ্ঠীর উত্থান এবং সেনা ও সরকারের দ্বৈত শাসনের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে পরমাণু অস্ত্রের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগ স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

‘পারমাণবিক ব্ল্যাকমেলিং’ আর সহ্য করবে না ভারত (Pakisatan Nuke)
রাজনাথ সিংহ (Rajnath Singh) আরও বলেন, ভারত পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ‘পারমাণবিক ব্ল্যাকমেলিং’ আর সহ্য করবে না (Pakisatan Nuke)। তাঁর কথায়, “ভারতের সশস্ত্র বাহিনী এতটাই প্রস্তুত ও সক্ষম যে, যেকোনও ধরনের পরমাণু হুমকি প্রতিহত করতে তারা সদা প্রস্তুত। আমাদের শত্রুরা বুঝে গিয়েছে, ‘ভারত মাতা কি জয়’ মানে কী।” এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি স্পষ্ট বার্তা দিলেন—ভারত কূটনৈতিক স্তরে যেমন সক্রিয়, তেমনই প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রেও প্রতিক্রিয়া জানাতে পিছপা হবে না।

‘অপারেশন সিঁদুর’-এর প্রশংসা (Pakisatan Nuke)
রাজনাথ সিংহ তাঁর সফরে সেনাদের সাহসিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেন। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আপনারা যে সাহসিকতা দেখিয়েছেন, তার জন্য গোটা দেশ আপনাদের গর্বিত মনে করে।” তিনি শ্রীনগরের বাদামিবাগ সেনাছাউনি পরিদর্শন করেন, যেখানে পাকিস্তানের দিক থেকে ছোঁড়া গোলার আঘাত এসেছিল। তিনি সেই গোলার ধ্বংসাবশেষও দেখেন।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া আসতে পারে (Pakisatan Nuke)
রাজনাথ সিংহের মন্তব্য আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে সাড়া ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিশ্বের নানা দেশ পাকিস্তানের পরমাণু নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ভারত এবার সরাসরি সেই বিষয়টি আন্তর্জাতিক নজরে আনতে চায় বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের স্পষ্ট ও কড়া অবস্থান ভারত সরকারের নতুন কূটনৈতিক কৌশলের ইঙ্গিত দেয়, যেখানে সীমান্ত সুরক্ষা ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা—দুই ক্ষেত্রেই ভারত আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে প্রস্তুত।