ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘অপারেশন সিঁদুর’ রীতিমতো হাড়হিম করা বার্তা দিল প্রতিবেশী পাকিস্তান ও তার পরোক্ষ মিত্র চিনকে (Pakistan Air Defence Failure )। এই অপারেশনে ইসলামাবাদের সীমান্তবর্তী অঞ্চল এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীদের একাধিক ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ভারতীয় যুদ্ধবিমানের নিক্ষিপ্ত স্ক্যাল্প ও হ্যামার ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করে দেয় নয়টি লক্ষ্যবস্তু, যার অধিকাংশই ছিল প্রশিক্ষণ শিবির। অপারেশনের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিকটি হলো—পাকিস্তানের চিনা প্রযুক্তিনির্ভর আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধবিমানগুলিকে চিহ্নিত করতে কিংবা বাধা দিতে। ফরাসি প্রযুক্তিতে নির্মিত রাফাল যুদ্ধবিমান এবং অত্যাধুনিক ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্রের সামনে কার্যত নিষ্প্রভ হয়ে যায় ইসলামাবাদের আত্মরক্ষা ব্যবস্থা।
রাত কানা চিনা ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (Pakistan Air Defence Failure )
পাকিস্তান এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চিনের উপর নির্ভরশীল তাদের আকাশ প্রতিরক্ষার জন্য (Pakistan Air Defence Failure )। এইচকিউ-৯পি, এলওয়াই-৮০, এফএম-৯০ সহ একাধিক চিনা প্রযুক্তি-নির্ভর ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন রয়েছে লাহৌর ও ইসলামাবাদের (Shehbaz Sharif) আকাশসীমায়। সূত্র বলছে, পাক সেনা এইসব ব্যবস্থার জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে। কিন্তু বাস্তব যুদ্ধে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময় এগুলি কার্যত অকেজো প্রমাণিত হয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, চিনের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির প্রতি পাকিস্তানের অন্ধ আস্থা এবার ফিকে হয়ে গেল। ২০১৯ সালে বালাকোটে ভারতীয় ‘এয়ার স্ট্রাইক’-এর সময়েও পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছিল। এমনকি ২০২২ সালে ভারতের ভুলবশত ছোড়া ব্রহ্মোস মিসাইলও চিহ্নিত করতে পারেনি তারা। এবার ফের সেই ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি ঘটল।
ভারতের দুর্ভেদ্য প্রতিরক্ষা(Pakistan Air Defence Failure )
অন্যদিকে, ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলোর সমতুল্য (Pakistan Air Defence Failure )। রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ এবং ইজ়রায়েলের সঙ্গে যৌথভাবে নির্মিত বারাক-৮ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সীমান্তে অভেদ্য বর্ম তৈরি করেছে। ডিআরডিওর তৈরি ‘আকাশ’ এবং ‘কুইক রিয়্যাকশন সার্ফেস টু এয়ার মিসাইল’ ব্যবস্থা, ইজ়রায়েলের স্পাইডার এবং রাশিয়ার ইগলা-এস হাতে থাকায় ভারতের আকাশ কার্যত অজেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকিস্তানের জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান দিয়ে এই প্রতিরক্ষা বলয় ভেদ করা অসম্ভব প্রায়। কারণ এই বিমানের যুদ্ধ-অভিজ্ঞতা নেই, এবং পূর্বেকার ব্যর্থতার ইতিহাসও রয়েছে। ডিআরডিও সম্প্রতি অত্যাধুনিক লেজ়ার অস্ত্র ‘এমকে-টু(এ)’ পরীক্ষায় সফল হয়েছে, যা ভবিষ্যতের ড্রোন হানায় বিরাট ভূমিকা নেবে।

মিথ্যা প্রচারে মুখ পুড়ল ইসলামাবাদের(Pakistan Air Defence Failure)
‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর পাকিস্তান দাবি করে, তারা ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে, যার মধ্যে দুটি রাফাল (Pakistan’s Air Defence Failure )। তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কিংবা আন্তর্জাতিক নিরপেক্ষ কোনও সংস্থা এই দাবি সমর্থন করেনি। পরবর্তীতে প্রমাণিত হয়, এটি ছিল ভুয়ো খবর। এই ভুয়ো প্রচারের ফলে আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তানের ভাবমূর্তি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

আরও পড়ুন: Operation Sindoor : পাকিস্তানে বাজছে সাইরেন,বাতিল ট্রেন! উত্তেজনার মুহূর্তে ধস পাক শেয়ার বাজারেও
প্রতিক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা(Pakistan Air Defence Failure )
পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারি দিলেও বিশ্লেষকদের মতে, বাস্তবায়ন অসম্ভব (Pakistan Air Defence Failure )। কারণ ভারতীয় আকাশ ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ অনেক এগিয়ে রয়েছে চিন-পাকিস্তান জোটের তুলনায়। উপরন্তু, ভারতের সামরিক ও কূটনৈতিক প্রস্তুতি যেকোনও পরিস্থিতিতে জবাবদিহি করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।‘অপারেশন সিঁদুর’ শুধু একটি সফল সেনা অভিযান নয়, এটি এক কৌশলগত বার্তা—সন্ত্রাসের মদতদাতা ও তাদের আশ্রয়দাতাদের জন্য। ভারত এবার শুধু কথা নয়, কার্যক্ষেত্রে শক্তি প্রদর্শনে এগিয়ে। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, এই অভিযান ভবিষ্যতের ভূরাজনৈতিক সমীকরণেও পরিবর্তন আনতে পারে।