ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ভারতের বিরুদ্ধে ফের গুরুতর অভিযোগ আনলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির(Asim Munir)। করাচিতে পাকিস্তান নৌসেনার একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “প্ররোচনা ছাড়াই ভারত দু’বার পাকিস্তানে হামলা চালিয়েছে।” তাঁর আরও দাবি, এই ধরনের আগ্রাসী পদক্ষেপ ভারতীয় নেতৃত্বের “দূরদর্শিতার অভাব” প্রমাণ করে। তবে ভারত কখন, কোথায় এই হামলা চালিয়েছে— সে বিষয়ে মুনির বিস্তারিত কিছু জানাননি। এখানেই থামেননি তিনি। ভারতকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ভবিষ্যতে যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে, পাকিস্তান তার যথাযথ জবাব দেবে। আমাদের সংযমকে দুর্বলতা ভাবার ভুল করবেন না।”
কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের পুরনো অবস্থান পুনরাবৃত্তি (Asim Munir)
এই একই অনুষ্ঠানে কাশ্মীর প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “কাশ্মীর আমাদের ঘাড়ের শিরা(Asim Munir)। আমরা ভুলব না। কাশ্মীরিদের আত্মত্যাগ আমাদের স্মরণে রয়েছে।” তাঁর দাবি, “কাশ্মীর ভারতের বেআইনি দখলে রয়েছে, এবং কাশ্মীরি জনগণ সেই দখলদারির বিরুদ্ধে লড়াই করছে।” মুনির বলেন, পাকিস্তান (Shehbaz Sharif) রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রস্তাব মেনে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে প্রস্তাব আনার পক্ষে।
ভারতের পক্ষ থেকে যদিও এই মন্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া আনুষ্ঠানিক ভাবে দেওয়া হয়নি, তবে কূটনৈতিক মহল মনে করছে, আসন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনগুলিকে সামনে রেখেই পাকিস্তান কাশ্মীর ইস্যুতে আবার সক্রিয় হচ্ছে। কাশ্মীর নিয়ে এই ধরনের মন্তব্য পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বের পুরনো অভ্যাস। তবে সম্প্রতি সীমান্ত পরিস্থিতির উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে এই বক্তব্য নতুন করে তাৎপর্য বহন করছে(Asim Munir)।
পূর্ববর্তী হামলা ও প্রতিক্রিয়া (Asim Munir)
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে একটি ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়(Asim Munir)। তদন্তে উঠে আসে, হামলাকারীদের উৎস পাকিস্তানের মাটি থেকেই। এরপর ভারত পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে সীমান্তে কড়া অভিযান শুরু করে এবং সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। পাকিস্তানও সীমান্তবর্তী এলাকায় হামলার চেষ্টা করে, যদিও তা প্রতিহত করে ভারত।

আঞ্চলিক উত্তেজনার ইন্ধন? (Asim Munir)
কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তান বর্তমানে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপে রয়েছে (Asim Munir)। এই পরিস্থিতিতে ভারতের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করে অভ্যন্তরীণ মনোবল বাড়ানো ও আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাশ্মীর ইস্যুকে পুনরুজ্জীবিত করাই মূল উদ্দেশ্য। অন্যদিকে, ভারতের কূটনৈতিক অবস্থান এখন অনেক বেশি শক্তিশালী। আন্তর্জাতিক মহলে ভারতকে বিচ্ছিন্ন করা বা কোনও কৌশলগত সুবিধা নেওয়া পাকিস্তানের পক্ষে সহজ হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে(Asim Munir)।

আরও পড়ুন: Benjamin Netamyahu : নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিচারপ্রক্রিয়া স্থগিত, কেন এই সিদ্ধান্ত?
সেনাপ্রধানের সাম্প্রতিক বক্তব্য একদিকে যেমন দক্ষিণ এশিয়ায় উত্তেজনা বাড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে, তেমনই পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক কূটনীতির দিশাও স্পষ্ট করছে। ভারত যদিও সরকারিভাবে প্রতিক্রিয়া না দিলেও, সীমান্তে সেনা সতর্কতা এবং কূটনৈতিক নজরদারি যে আরও বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য।