ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ইসলামাবাদকে কড়া বার্তা দিয়ে বুধবার মধ্যরাতে (Pahalgam Attack) নয়াদিল্লিতে তলব করা হয় পাকিস্তানের অন্যতম শীর্ষ কূটনীতিককে। মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা সীমান্ত ডিঙিয়ে হামলা চালায় উপত্যকার পহেলগাঁওয়ে। এই ঘটনার পর বদলা চাইছে গোটা দেশ। ইতিমধ্যে সিন্ধু চুক্তি বাতিল, আটারি সীমান্ত বন্ধ, পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিলের মতো একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে, পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিলের কথা জানিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। এমনকী নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানি হাইকমিশনের আধিকারিকদেরও এক সপ্তাহের মধ্যে দেশ ছাড়তে বলা হয়েছিল।
আপাতত আর ভিসা দেওয়া হবে না (Pahalgam Attack)
বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া বন্ধ না করা পর্যন্ত সিন্ধু জলচুক্তি আপাতত স্থগিত করে দেওয়া হল (Pahalgam Attack)। শুধু তাই নয়, নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানি হাইকমিশনের আধিকারিকদেরও এক সপ্তাহের মধ্যে দেশ ছাড়তে বলা হয়েছে। ইসলামবাদের ভারতীয় হাইকমিশন থেকে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত আধিকারিকদের দেশে ফেরার নির্দেশও দিয়েছে নয়াদিল্লি। এও স্পষ্ট করা হয়েছে, পাক নাগরিকদের আপাতত আর ভিসা দেওয়া হবে না।
মধ্যরাতে ডেকে পাঠিয়ে ভারত ছাড়ার নোটিস (Pahalgam Attack)
পহেলগামের হামলার ঘটনার সঙ্গে তাঁদের যোগ নেই, এই দাবি করেছে পাকিস্তান। কিন্তু পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তইবার ছায়া সংগঠন এই হামলার পিছনে রয়েছে বলে ইতিমধ্যে স্বীকার করেছে। গোটা কর্মকাণ্ডের পিছনে পাক সেনা ও পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই রয়েছে বলেও দাবি। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই জঙ্গি হামলার ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাঁচ বড় পদক্ষেপ করেছে মোদী সরকার। এবার সেদেশের পাক কূটনীতিক সাদ আহমেদ ওয়ারাইচকে মধ্যরাতে ডেকে পাঠিয়ে ভারত ছাড়ার নোটিস ধরানো হল।
পাঁচটি পদক্ষেপের কথা ঘোষণা
পর্যটকদের উপর হামলার পরেই বৈঠকে বসে ভারতের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে এই বৈঠক চলে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ছিলেন এই বৈঠকে। দীর্ঘ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। সেখানেই তিনি জানান, পহেলগাম হামলার তীব্র প্রতিবাদ করে ভারত বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।