ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বিশ্বের অন্যতম বড়ো স্বর্ণখনি (Pakistan Gold Mine) রয়েছে পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশের রেকো ডিকেতে। এবার সেইখানেই বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে সৌদি প্রশাসন। ইসলামাবাদের সূত্রে অন্তত তেমনটাই খবর পাওয়া গেছে।
মিলেছে স্বর্ণভান্ডারের খোঁজ (Pakistan Gold Mine)
পাকিস্তানের বালুচিস্তান শহরে বিপুল স্বর্ণভান্ডারের (Pakistan Gold Mine) খোঁজ পাওয়া গেছে। সেই সোনার খনির দিকে নজর পড়েছে সৌদি আরবের। জানা গেছে, আরবের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন আল-সৌধ এই বিষয়ে নিজের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সেই অনুযায়ী শাহবাজ শরিফ সরকারের সঙ্গে কিছুটা কথাও বলে রেখেছেন তিনি।
স্বর্ণখনিতে লগ্নি (Pakistan Gold Mine)
আরব মুলুকের যুবরাজ মাটি খুঁড়ে (Pakistan Gold Mine) ওই হলুদ রঙের ধাতু তুলে সেখানে লগ্নি করতে চান। স্বাভাবিক ভাবেই আরবের সাহায্য পেলে পাকিস্তান মুলুকের পক্ষে মাটির নীচ থেকে পীতাভ বর্ণের ধাতু উত্তলোনের প্রক্রিয়া আরও সহজ হয়ে যাবে। তাছাড়া ধাতু উত্তোলনের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে।
‘ফিউচার মিনারেলস্ ফোরাম’
২০২৫ সালের শুরুতেই সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াধে ‘ফিউচার মিনারেলস্ ফোরাম’ নামক একটি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পাক পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী মুসাদিক মালিক। আরবের প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ বিন সলমনও ছিলেন সেই অনুষ্ঠানে। ওই অনুষ্ঠান থেকে বালুচিস্তানের তামা ও স্বর্ণখনি নিয়ে রিয়াধের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। তারপরই পাওয়া যায় ইতিবাচক ইঙ্গিত।
আরও পড়ুন: Jyotipriya Mallick: জামিন জ্যোতিপ্রিয়র, ১৪ মাস পর জেলমুক্তি
কী জানালেন পাক-মন্ত্রী?
পাক পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী জানিয়েছেন যে এই বিষয় সম্পর্কে তার কোনওরকম আপত্তি নেই। খনি ইস্যুতে দুই পক্ষের তরফেই একটা সমঝোতায় আসার চেষ্টা চলছে। সৌদি প্রশাসন খুব শীঘ্রই বিনিয়োগ করবে বলে আশা রেখেছেন তিনি।
লগ্নি করবে কবে?
জানা যাচ্ছে ২০২৫ সালের জুন মাসের মধ্যেই এই খনিতে বিনিয়োগ করবে সৌদি আরব। সৌদি আরবের জনপ্রিয় খনি সংস্থা ‘মানারা মিনারেলস্’-এর তরফে এই লগ্নি করা হবে। এছাড়াও ইসলামাবাদের সঙ্গে যৌথ প্রয়াসে পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড তৈরি করার কথা ভাবা হচ্ছে সৌদি প্রশাসনের তরফে।
আরও পড়ুন: Shraddha Kapoor: শ্রীদেবীর জায়গা নেবেন শ্রদ্ধা কাপুর! পর্দায় ফিরছেন নাগিন হয়ে
অফুরন্ত সোনা
অন্যদিকে পাকিস্তানের প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে, রেকো ডিকের মাটির তলায় প্রচুর পরিমাণ সোনা রয়েছে। আগামী ৫০ বছর লাগাতার সোনা উত্তোলন করলেও সেই সোনা শেষ হবে না। সূত্রের খবর, প্রতি বছরে দু’লক্ষ টন তামা এবং আড়াই লক্ষ আউন্স হলুদ ধাতু উত্তোলন করা সম্ভব এই খনি থেকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালে রেকো ডিকোর খনি থেকে ২০০ কেজি সোনা এবং ১,৭০০ টন তামা তোলা হয়েছিল।