ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : পহেলগাঁওয়ে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার ঘটনার রেশ না কাটতেই ফের এক দফা কড়া পদক্ষেপ ভারতের(Pakistan PM Shehbaz Sharif)। এ বার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফের (Shehbaz Sharif) সরকারি ইউটিউব চ্যানেলকে ভারতে নিষিদ্ধ করল নরেন্দ্র মোদী সরকার। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার যুক্তি দেখিয়ে কেন্দ্র এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। যদিও এই সিদ্ধান্তের পিছনে আনুষ্ঠানিক কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
নিষেধাজ্ঞা কীভাবে কার্যকর হল? (Pakistan PM Shehbaz Sharif)
যাঁরা ভারতে থেকে ইউটিউবে শাহবাজ় শরিফের অফিসিয়াল চ্যানেল খুলতে চাইছেন, তাঁরা একটি সতর্কবার্তা দেখতে পাচ্ছেন, যাতে লেখা,-“জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণে সরকারি নির্দেশে এখানকার বিষয়বস্তু বর্তমানে ভারতে দেখতে পাওয়া যাবে না।”এটি ইউটিউবের তরফে ভারতের সরকারের নির্দেশে কার্যকর করা হয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে।
আগে ১৬টি পাক চ্যানেলেও কোপ(Pakistan PM Shehbaz Sharif)
এর আগেই কেন্দ্র পাকিস্তানের ১৬টি ইউটিউব চ্যানেল নিষিদ্ধ করেছিল। অভিযোগ ছিল, ওই সব চ্যানেল ভারতের বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক, বিভ্রান্তিকর ও সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচার করছিল। পহেলগাঁও হামলার পর সেনাবাহিনী ও সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয় ওই চ্যানেলগুলিতে। এমনকি, মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অনুরোধে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়। তালিকায় ছিল একাধিক পাক সংবাদমাধ্যম, কিছু প্রভাবশালী ইউটিউবার, এমনকি প্রাক্তন ক্রিকেটার শোয়েব আখতারের চ্যানেলও।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ(Pakistan PM Shehbaz Sharif)
শুধু পাকিস্তান নয়, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনেও নজর রাখছে নয়াদিল্লি। সম্প্রতি বিবিসি-র একটি প্রতিবেদনে পহেলগাঁও হামলাকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ না বলে ‘জঙ্গি হামলা’ বলা হয়েছিল। এর পরেই কেন্দ্র বিবিসির ভারতীয় শাখা প্রধান জ্যাকি মার্টিনকে চিঠি দিয়ে কড়া আপত্তি জানায়।একই ধরনের অভিযোগে মার্কিন সংবাদপত্র নিউ ইয়র্ক টাইম্স–এর বিরুদ্ধেও আপত্তি জানানো হয়েছে। সরকারি সূত্রের দাবি, “সন্ত্রাসবাদ নিয়ে নিরপেক্ষ ও সংবেদনশীল ভাষা ব্যবহারের দায় রয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলির।”

কেন্দ্রের বার্তা স্পষ্ট (Pakistan PM Shehbaz Sharif)
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ শুধুই পাকিস্তান-বিরোধী পদক্ষেপ নয়—এটি মূলত ভারতের নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক অবস্থানকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরার কৌশল। কেন্দ্রীয় সরকারের মতে, তথ্যপ্রযুক্তি পরিসরে ‘ডিজিটাল যুদ্ধ’ এখন বাস্তব, এবং যেকোনও প্রকার অপপ্রচারকে প্রতিহত করতেই এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হচ্ছে।এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, পাকিস্তান-ভারত সম্পর্ক কি আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে? একই সঙ্গে, সরকারের এই পদক্ষেপ তথ্যপ্রবাহ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার কতটা সঙ্গে সাযুজ্য রেখে চলছে, তা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হচ্ছে।