ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: রাওয়ালপিন্ডি থেকে এসেছিলেন ১৯৮০ সালে, চন্দননগরেরই ঘরের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন। এখন বলছে তিনি পাকিস্তানি নাগরিক! ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে শনিবার ফতেমা বিবি নামে ওই মহিলাকে পুলিশ বাড়ি থেকে গ্রেফতার (Pakistani Citizen Arrested) করায় অবাক প্রতিবেশীরাও৷
বাঙালিবাবুর পাকিস্তানি স্ত্রী! (Pakistani Citizen Arrested)
চার দশকেরও বেশি সময় ধরে চন্দননগরের কুঠিরমাঠ এলাকায় বসবাস। স্বামী, সন্তান, সংসার সবই গড়ে তুলেছেন এখানে। আধার কার্ড, প্যান কার্ড, এমনকি কর্পোরেশনের ভোটার তালিকাতেও নাম রয়েছে। তবুও, ষাট বছরের ফতেমা বিবিকে হঠাৎই ‘অবৈধ বিদেশি নাগরিক’ হিসেবে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনায় স্তব্ধ পরিবার ও প্রতিবেশীরা।
আরও পড়ুন: Rooftop Restaurants: আর কোনও রুফটপ রেস্তরাঁ করা যাবে না! বন্ধের নির্দেশ দিল কলকাতা পুরনিগম
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি থেকে ১৯৮০ সালে টুরিস্ট ভিসায় বাবার সঙ্গে ভারতে আসেন ফতেমা বিবি। ১৯৮২ সালে চন্দননগরের বাসিন্দা মুজফফর মল্লিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন (Pakistani Citizen Arrested)। দুই কন্যাসন্তান রয়েছে তাঁদের, দু’জনেরই বিয়ে হয়ে গেছে।

তবে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে প্রবেশের এক বছরের মধ্যেই ফতেমা বিবি ‘নিখোঁজ’ হিসেবে নথিভুক্ত হয়ে যান। সেই থেকেই তাঁর নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। সাম্প্রতিক কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তান থেকে আগত নাগরিকদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। সেই প্রেক্ষিতেই উঠে আসে ফতেমা বিবির নাম।
গ্রেফতার ‘অনুপ্রবেশকারী’ গৃহবধূ (Pakistani Citizen Arrested)
চন্দননগরের কুঠিরমাঠ এলাকার মসজিদের পিছনে মুজফফর মল্লিকের দোতলা বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয় ফতেমাকে। দীর্ঘদিনের প্রতিবেশীকে এভাবে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে দেখে অবাক হয়ে যান এলাকার মানুষ। তাঁদের কথায়, “উনি তো আমাদেরই একজন। এখানে উনি প্রায় ৪৫ বছর ধরে আছেন (Pakistani Citizen Arrested)। এখন উনাকে কোথায় পাঠাবে?”
আরও পড়ুন: Indian Boys Kidnapped: দুই ভারতীয় চাষিকে অপহরণ বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের, ফিরিয়ে আনল BSF
ফতেমার স্বামী জানান, হুগলির নালিকুলে ছিল তাঁর স্ত্রীর পূর্বপুরুষদের ভিটে। ছোটবেলাও কেটেছে সেখানেই। পরবর্তীতে বাবার কাজের সূত্রে রাওয়ালপিন্ডি চলে যেতে হয় ফতেমাকে। তারপর সেখান থেকেই ভারতে ফেরা।
বর্তমানে শারীরিকভাবে ভেঙে পড়েছেন ফতেমা (Pakistani Citizen Arrested)। হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন, নিয়মিত খেতে হয় নানা ধরনের ওষুধ। পরিবার জানিয়েছে, অনেক আগেই ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু এখনও তা অনুমোদিত হয়নি।