ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: অপারেশন সিঁদুরের উপর বিশেষ অধিবেশন (Parliament Monsoon Session) ডাকার বিরোধীদের দাবি প্রত্যাখ্যানের পর বাদল অধিবেশনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।
তিন মাস পর সংসদের অধিবেশন, বিরোধীদের বিশেষ অধিবেশনের দাবি নিয়ে কেন্দ্রের জবাব (Parliament Monsoon Session)
কেন্দ্রীয় সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বুধবার ঘোষণা করলেন, সংসদের বাদল অধিবেশন ২১ জুলাই থেকে শুরু হয়ে চলবে ১২ আগস্ট পর্যন্ত (Parliament Monsoon Session)। লোকসভা এবং রাজ্যসভা— দুই কক্ষেরই এই অধিবেশন তিন মাসের বিরতির পর বসছে। তিনি সাংবাদিকদের জানান, “আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ২১ জুলাই থেকে বাদল অধিবেশন ডাকা হবে এবং তা চলবে ১২ আগস্ট পর্যন্ত। সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং আমরা রাষ্ট্রপতি মহাশয়ের কাছে কক্ষদ্বয়ের আহ্বানের প্রস্তাব পাঠাব।”
পহেলগাঁও হামলা ও অপারেশন সিন্দুর নিয়ে বিশেষ অধিবেশনের দাবি (Parliament Monsoon Session)
এই বাদল অধিবেশনই হতে চলেছে পহেলগাঁও হামলা ও অপারেশন সিন্দুরের পর প্রথম সংসদ অধিবেশন (Parliament Monsoon Session)। ২২ এপ্রিলের ওই জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়। এরপর থেকেই বিরোধী নেতারা একটি বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবি জানাচ্ছেন।
মঙ্গলবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এক্স-এ লিখেছেন, “আমরা, INDIA জোটের নেতারা, আবারও জোর দিয়ে ও জরুরি ভিত্তিতে দাবি জানাচ্ছি, যেন পহেলগাঁও হামলার পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে উভয় কক্ষের একটি বিশেষ সংসদ অধিবেশন ডাকা হয়।”
আরও পড়ুন: Bengaluru: বেঙ্গালুরুতে আরসিবি’র সেলিব্রেশনে মৃত্যু মিছিল, থামল না উৎসব
তিনি একটি চিঠিও পোস্ট করেছেন, যেখানে স্বাক্ষর করেছেন রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়সহ একাধিক বিরোধী নেতা।
কেন্দ্রের জবাব: “প্রত্যেক অধিবেশনই বিশেষ অধিবেশন”
বিরোধীদের এই দাবির জবাবে কিরেন রিজিজু বলেন, “আমাদের কাছে প্রতিটি অধিবেশনই বিশেষ অধিবেশন।” তিনি আরও জানান, নিয়ম অনুযায়ী বাদল অধিবেশন চলাকালীন সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েই আলোচনা হতে পারে।
আরও পড়ুন: YouTuber Jasbir Singh: ইউটিউবার জসবির সিং-এর পাক-যোগ! ফাঁস গুপ্তচর চক্র, তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য
তৃণমূলের খোঁচা: “পার্লামেন্টোফোবিয়া”
এই ঘোষণার পর তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে বলেন, “Parliamentophobia (noun): এমন এক রোগ যেখানে (মোদি) সরকার সংসদের মুখোমুখি হতে ভয় পায়। বিশেষ অধিবেশন থেকে পালিয়ে বাঁচছে তারা।”
সংসদে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা কতটা হয়, এখন সেটাই দেখার। তবে বিরোধীদের চাপ এবং সরকারের অবস্থান বাদল অধিবেশনকে যে উত্তপ্ত করে তুলবে, তা বলা যেতেই পারে।