ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার জেরে গোটা দেশে তৈরি হয়েছে চরম উদ্বেগ ও প্রতিক্রিয়ার পরিবেশ (Parliament Session on Pahalgam)। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় ঐক্যের বার্তা দিতে সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবি জানাল বিরোধী দলগুলি। লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) এবং রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) যৌথভাবে চিঠি লিখে এই আবেদন জানিয়েছেন। তাদের মতে, এই সংকটময় মুহূর্তে দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দল একত্রিত হয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ বার্তা দিলে তা দেশের ভিতরে ও আন্তর্জাতিক পরিসরে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।
রাহুলের চিঠি (Parliament Session on Pahalgam)
প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে রাহুল গান্ধী লেখেন, “এই কঠিন সময়ে ভারত দেখিয়ে দেবে যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমরা সবাই একজোট রয়েছি (Parliament Session on Pahalgam)। আমাদের পারস্পরিক রাজনৈতিক মতভেদ থাকলেও দেশের স্বার্থে আমরা একত্রিত। সংসদের বিশেষ অধিবেশন সেই ঐক্যের প্রতীক হতে পারে।” একই চিঠিতে মল্লিকার্জুন খড়্গে (Mallikarjun Kharge) উল্লেখ করেন, “সন্ত্রাসের মোকাবিলায় দেশের প্রতিটি নাগরিক এবং রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ। সংসদের উভয় কক্ষে অবিলম্বে বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করলেই সেই বার্তা জোরালোভাবে পৌঁছবে সারা দেশে ও বিশ্বের কাছে।”এই প্রস্তাব পাওয়ার পর বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল জানান, “প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠির বিষয়টি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সংসদীয় বিষয়ক কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। কমিটি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে যথাসময়ে তা জানানো হবে।”
ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক (Parliament Session on Pahalgam)
উল্লেখযোগ্য যে, ২২ এপ্রিল অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় এক ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন নিরীহ মানুষ, যাঁদের মধ্যে ছিলেন পর্যটক, শ্রমিক এবং নিরাপত্তারক্ষীরা (Parliament Session on Pahalgam)। এই ঘটনার পর ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, সীমান্তরক্ষায় কৌশল এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।ঘটনার পর ভারত সরকার কড়া পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি পর্যালোচনার উদ্যোগ, সীমান্তে সেনা মোতায়েন বৃদ্ধি, কূটনৈতিক স্তরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চাপ বাড়ানো এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রমাণ-সহ প্রচার—সবই শুরু হয়েছে। পাকিস্তানও এর পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে(Parliament Session on Pahalgam)।


রাজনৈতিক বিভেদ দূর হবে (Parliament Session on Pahalgam)
বিরোধীদের দাবি, এই মুহূর্তে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে ঐক্য বজায় রেখে একটি শক্তিশালী বার্তা দিতে হবে সন্ত্রাসীদের এবং তাদের মদতদাতাদের প্রতি (Parliament Session on Pahalgam)। সংসদের একটি বিশেষ অধিবেশন হলে দেশের উচ্চতম গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সেই বার্তা সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছানো সম্ভব হবে।বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিরোধীদের এই আহ্বান শুধু রাজনৈতিক কৌশল নয়, বরং জাতীয় নিরাপত্তা এবং গণতান্ত্রিক ঐক্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।এখন দেখার বিষয়, কেন্দ্রীয় সরকার কত দ্রুত এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের পথে এগোয় এবং সংসদের বিশেষ অধিবেশনের আয়োজন করে দেশের ঐক্যের বার্তা জোরালো করে তোলে(Parliament Session on Pahalgam)।