ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আগামী ১৩ নভেম্বর থেকে রয়েছে দুইটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। এই বিধানসভা নির্বাচন চলবে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত (Parliament Winter Session)। এছাড়াও বেশ কয়েকটি রাজ্যে রয়েছে বিধানসভা ও লোকসভা উপনির্বাচন। এই নির্বাচন ও উপনির্বাচনের ফালাফল ঘোষণা হবে আগামী ২৩ নভেম্বর। আগামী ১৩ নভেম্বর থেকে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডে। আর উপনির্বাচন রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, কেরল ও পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি বিধানসভা ও লোকসভা কেন্দ্রে। মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচন ও উত্তরপ্রদেশ, কেরল এবং পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা উপনির্বাচনের ফল প্রকাশের পরেই কেন্দ্রীয় সংসদে শুরু হতে চলেছে শীতকালীন অধিবেশন।
কবে শুরু অধিবেশন? (Parliament Winter Session)
আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে কেন্দ্রীয় সংসদে শীতকালীন অধিবেশন (Parliament Winter Session)। নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন সরকারের সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানিয়েছেন, ২৫ নভেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সংসদে শীতকালীন অধিবেশন (Parliament Winter Session) চলবে। ভোটের ফল ঘোষণার দু-দিন পরেই সংসদের এই অধিবেশনে আগে নব নির্বাচিত সাংসদরা যেতে পারবেন কী না তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে এই অধিবেশনের মধ্যেই হতে পারে নবনির্বাচিত সাংসদদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান।
সংবিধান দিবস (Parliament Winter Session)
এছাড়া ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া শীতকালীন অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন ২৬ নভেম্বর সংবিধান গৃহীত হওয়ার ৭৫ বছর উদযাপন করা হবে। এই বছর ২৬ নভেম্বর পুরনো সংসদ ভবনে, অর্থাৎ সংবিধান সদনের সেন্ট্রাল হলে সংবিধান দিবস পালন করা হবে। সেই সংবিধান দিবস উদযাপনে উপস্থিত থাকতে পারেন সাংসদের সদস্যরা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেছেন মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশের ফলের উপর অনেক কিছুই নির্ভর করবে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে।
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলের মাধ্যমে যুক্ত হন আমাদের সঙ্গে। ক্লিক করুন এখানে।
ভোটের ফলে নির্ভর করবে অনেক কিছু
উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের ফলের উপর নির্ভর করবে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে মোদী সরকার চাপে থাকবে কি না! এর আগে হরিয়ানায় কংগ্রেসকে হারিয়েছিল বিজেপি শিবির। বিজেপি হরিয়ানায় কংগ্রেসকে হারিয়ে এখন বেশ উজ্জীবিত হয়েছে। সামনের এই বিধানসভা ভোটে যদি আবারও বিজেপি জয় পায় তাহলে বেশ খানিকটা চাপ মুক্ত হবে বিজেপি। বিশেষ করে মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশের উপনির্বাচনে বিজেপি ভালো ফল করলে সামনের শীতকালীন অধিবেশনে মোদী সরকারের উপর থেকে চাপ অনেকটা সরে যাবে।
আরও পড়ুন: নেক্সট টার্গেট ভাইজান! ফের সলমনকে খুনের হুমকি
বিরোধীদের হাতে ইস্যু
অন্যদিকে বিরোধীদের কাছে মোদী সরকারকে চাপে রাখার বেশ কয়েকটি ইস্যু রয়েছে। বিরোধীরা এই শীতকালীন অধিবেশনে মোদী সরকারকে এই ইস্যুগুলিতে বেশ চাপে রাখার চেষ্টা করবে। মোদী সরকারের কাছে বিরোধীরা ভারত এবং চিনের মধ্যে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন করতে পারে। ভারতের সঙ্গে চিনের যে সম্পর্কের উন্নতি এবং ভারত-চিন কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্নবানে সরকার পক্ষকে বিঁধতে পারে বিরোধীরা। লাদাখে চিনা সেনার সঙ্গে কী কী উন্নতি হয়েছে সেই প্রশ্নও উঠবে এই শীতকালীন অধিবেশনেই।
কেননা, সম্প্রতি ভারত এবং চিনের মধ্যে কূটনৈতিক স্তরে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সেনা ২০২০ সালের অবস্থানে নিয়ে যাওয়া প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে ওঠা কানাডার অভিযোগ নিয়েও প্রশ্ন করতে পারে মোদী সরকারকে। যদি ওয়াকফ বিল নিয়ে সংসদের যৌথ কমিঠি নিদিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করে তাহলে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই তার রিপোর্ট পেশ করা হতে পারে।