ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সকাল সাড়ে (Patna Hospital) সাতটা। পাটনার একটি বেসরকারি হাসপাতাল তখনও দিনের চেনা ব্যস্ততা পায়নি। আচমকা হাসপাতালের নীরবতা ভেঙে ঢুকে পড়ল পাঁচ জন সশস্ত্র ব্যক্তি। চার জনের মাথায় টুপি, একজন খালি মাথায়। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে, সকলের কোমরে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র। নিশানা ছিল এক জন চন্দন মিশ্র।
পুলিশের নিরাপত্তা থাকার পরও দুষ্কৃতীদের ঢোকা আটকানো যায়নি (Patna Hospital)
আইসিইউতে তখন চিকিৎসাধীন ছিলেন চন্দন, একজন কুখ্যাত (Patna Hospital) অপরাধী। প্যারোলে ছাড়া পেয়ে অসুস্থতার অজুহাতে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে রয়েছে খুন, অপহরণ, চাঁদাবাজি-সহ ২৪টি মামলা, যার মধ্যে ১২টি সরাসরি খুনের অভিযোগ। হাসপাতালে পুলিশের নিরাপত্তা থাকার পরও দুষ্কৃতীদের ঢোকা আটকানো যায়নি।
আইসিইউতে ঢুকে একের পর এক গুলি (Patna Hospital)
হাসপাতালের সিসিটিভি-তে ধরা পড়েছে, ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে পুরো ঘটনা (Patna Hospital) ঘটে। আইসিইউতে ঢুকে একের পর এক গুলি চালায় হামলাকারীরা। চন্দনের মৃত্যু নিশ্চিত করে চার জন বারান্দা দিয়ে পালায়। শেষ ব্যক্তি খালি মাথার জন, ধীরে সুস্থে বেরিয়ে যায়, যেন কোনও কিছুর তোয়াক্কাই নেই! ওই ব্যক্তিকেই চিহ্নিত করেছে পুলিশ, নাম তৌসিফ বাদশাহ। পরে তাকেই গ্রেফতার করা হয়।

হাসপাতালের বাইরে বন্দুক উঁচিয়ে উল্লাস
তদন্তে উঠে এসেছে, হামলার আগেই হাসপাতালে রেকি করে গিয়েছিল তৌসিফ। হাসপাতালের প্রবেশপথ, নিরাপত্তার ফাঁকফোকর, সব কিছুই তার জানা ছিল। হামলার দিন ছয় জন দুষ্কৃতী ছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। পাঁচ জন ভিতরে ঢোকে, একজন বাইরেই পাহারায় ছিল। খুনের পর হাসপাতালের বাইরে বন্দুক উঁচিয়ে উল্লাসও করে তারা। এরপর ভিড়ের মধ্যে মিশে গিয়ে বাইকে করে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়।
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন
এই ঘটনার পর রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উঠেছে বড় প্রশ্ন। এত কড়া নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে দুষ্কৃতীরা হাসপাতালে ঢুকে একজনকে খুন করে নির্দ্বিধায় পালিয়ে গেল? চিকিৎসা ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। ঘটনাটি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন শাসক দলকে। বলেন, ‘‘এই সরকার অপরাধীদের রক্ষা করছে। এখন তো হাসপাতালে রোগীও নিরাপদ নয়। আমাদের আমলে কেউ এমন দুঃসাহস দেখিয়েছে?’’ তৌসিফ ধরা পড়লেও, বাকি পাঁচ অভিযুক্ত এখনও পলাতক। পুলিশ জানিয়েছে, দ্রুত তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।