ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বিশ্ববাজারে জ্বালানির (Petrol Diesel Price) দামে বড়সড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পেট্রোল ও ডিজেলের দাম নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে যেমন আগ্রহ থাকে, তেমনি ব্যবসায়ী মহলেও রয়েছে তীব্র নজরদারি। সম্প্রতি এমনই এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে OPEC+, যার সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে ভারতের তেলের দামে।
অপরিশোধিত তেলের উৎপাদন বাড়াতে চলেছে (Petrol Diesel Price)
সূত্র অনুযায়ী, আগামী আগস্ট মাস থেকে অপরিশোধিত তেলের (Petrol Diesel Price) উৎপাদন বাড়াতে চলেছে OPEC+। এই জোটের আটটি সদস্য দেশ প্রতিদিন ৫ লক্ষ ৪৮ হাজার ব্যারেল অতিরিক্ত অপরিশোধিত তেল বাজারে ছাড়ার বিষয়ে একমত হয়েছে। এর আগে মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত OPEC ধাপে ধাপে প্রতিদিন ৪ লক্ষ ১১ হাজার ব্যারেল তেল উৎপাদন বাড়ানোর ঘোষণা করেছিল।
প্রভাব পড়বে দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে (Petrol Diesel Price)
এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য হল ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক চাহিদা পূরণ করা এবং তেলের দামকে (Petrol Diesel Price) নিয়ন্ত্রণে রাখা। কারণ বিশ্ববাজারে চাহিদা যতই বাড়ুক, যদি সরবরাহ বাড়ানো যায়, তাহলে দাম পড়বে এই সাধারণ অর্থনীতির সূত্রেই চলছে পরিকল্পনা। ভারতের মতো দেশ, যারা অপরিশোধিত তেলের একটি বড় অংশ আমদানি করে, তাদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খবর। ভারত OPEC সদস্যদের কাছ থেকেই অধিকাংশ তেল আমদানি করে থাকে। ফলে OPEC+ যদি তেল উৎপাদন বাড়ায়, তাহলে সরবরাহ বাড়বে এবং দামও কমবে। এর প্রভাব পড়বে দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারেও।
বাজারে পণ্যের দামও কিছুটা কমে আসে
বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়, তাহলে ভারতে পেট্রোল-ডিজেল সহ পেট্রোলিয়াম পণ্যের দামে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস আসতে পারে। এর ফলে শুধু পরিবহন ব্যয় নয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামেও প্রভাব পড়বে, কারণ পরিবহণ খরচ কমলে বাজারে পণ্যের দামও কিছুটা কমে আসে।

অর্থনীতির ওপর ইতিবাচক প্রভাব
এই মূল্যহ্রাসের ফলে ভারত সরকারের আমদানি খরচও কমবে, যা সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনীতির ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। উল্লেখ্য, OPEC (Organization of the Petroleum Exporting Countries) একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন, যার সদস্য সংখ্যা ১৪। এর মধ্যে রয়েছে সৌদি আরব, ইরান, ইরাক, কুয়েত, ভেনিজুয়েলা-সহ অন্যান্য প্রধান তেল রপ্তানিকারক দেশ।
আরও পড়ুন: Heart Health Tips: ঘুমের সময় আলো কি রাতের জন্য ভালো? কী জানা গেল গবেষণায়?
OPEC+ গঠিত হয় ২০১৬ সালে, যেখানে OPEC দেশের পাশাপাশি রাশিয়া, কাজাখস্তান, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, ওমান এবং সুদানের মতো অ-OPEC দেশগুলিও যুক্ত রয়েছে। এই সংগঠনের সিদ্ধান্তের দিকেই এখন তাকিয়ে আছে গোটা বিশ্ব, বিশেষ করে ভারত। যদি সরবরাহ সত্যিই বাড়ে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে দেশের সাধারণ মানুষ পেট্রোল পাম্পে কিছুটা স্বস্তি পেতে পারেন, এমনটাই আশাবাদী বিশ্লেষক মহল।