ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বনভোজন (Picnic With Gopal Idol) মানেই ডিজে বক্স বাজিয়ে বাংলা কিংবা হিন্দি গানে নাচ, সঙ্গে দেদার উল্লাস। কিন্তু এসবের বাইরে এবারে এক ব্যতিক্রমী বনভোজনের ছবি দেখা গেল রায়গঞ্জে (Raiganj)। এই বনভোজনে ডিজে বক্সে গান বাজানোর পরিবর্তে শোনা গেল খোল করতালের ধ্বনি। ভেসে উঠল কৃষ্ণ নাম। গোপালের মূর্তি নিয়ে চলল বনভোজন, দেদার আনন্দ (Picnic With Gopal Idol)।
ডিজে না, পিকনিকে খোল-করতাল (Picnic With Gopal Idol)
কথায় বলে ভক্তের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে ভগবান। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাল্য রূপ গোপাল, তাই বেশিরভাগ বাড়িতেই হয় গোপালের মূর্তির আরাধনা। শীতের মরশুম পড়তেই বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজনকে নিয়ে চলে বনভোজন। কিন্তু এবার চিত্রটা একটু অন্যরকম। গৃহস্থের আরাধ্য দেবতাকে সঙ্গে নিয়েই হল শীতকালের বনভোজন (Picnic With Gopal Idol)।
সঙ্গী ‘গোপাল’, ব্যতিক্রমী বনভোজন (Picnic With Gopal Idol)
শীতের মরশুম মানেই চারিদিকে বনভোজনের ঘনঘটা। ডিজে বক্স বাজিয়ে বাংলা-হিন্দি গানে নাচ, সঙ্গে হৈচৈ-উল্লাস। কিন্তু এসবের বাইরেও যে ব্যতিক্রমী বনভোজন হতে পারে তা হয়তো ভাবতে পারেননি কেউই। এমনই এক ব্যতিক্রমী বনভোজনের ছবি দেখা গেল রায়গঞ্জে। এখানে বনভোজনে ডিজে বক্সে গান বাজানোর পরিবর্তে শোনা গেল খোল করতালের ধ্বনি (The Sound Of Open Cymbals Was Weard)। ভেসে উঠল কৃষ্ণ নাম। শুধু তাই নয়, বনভোজনে অংশ নিল একাধিক গোপাল ঠাকুর (Picnic With Gopal Idol)।

চণ্ডীতলার গোপালভক্তদের বনভোজন (Banquet Of Cowherd Devotees At Chanditla)
বাড়ির সবাই বনভোজনে বেরিয়ে গেলে বাড়িতে থাকা আরাধ্য দেবতা গোপাল ঠাকুরের মন খারাপ হবে। একথা ভেবে গোপালকে একা ফেলে বাইরে বনভোজনে যাওয়ার বাসনা পরিত্যাগ করেন অনেকেই। গোপালেরও তো সাধ হয় বনভোজনে অংশ নেওয়ার। তাই সেকথা মাথায় রেখে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করলেন রায়গঞ্জের চন্ডীতলার (Chanditala of Raiganj) একদল গোপাল ভক্ত। বাড়ির গোপালদের নিয়ে মেতে উঠলেন বনভোজনের আনন্দে মেতে উঠলেন গোপাল ভক্তরা (Gopal Devotees Rejoiced In The Feast)।
বাহিন এলাকায় বনভোজনের আয়োজন (Organized Picnic In Bahin Area)
রায়গঞ্জ শহর থেকে কিছুটা দুরে বাহিন (Bahin) এলাকায় এই বনভোজনের আয়োজন করা হয়। সেখানে দিনভর খোল করতাল বাজিয়ে চলে কৃষ্ণ নাম। সেখানে আনা হয়েছিল একাধিক গোপালের মূর্তিও। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাল্যলীলা সমস্তটাই কেটেছে বনে বনে। যমুনা নদীর (Yamuna River) তীরে বনভোজন করতেন, খাওয়া-দাওয়া করতেন শ্রীকৃষ্ণ (Shri Krishna)। প্রতিবছরই তারা এ ধরনের আয়োজন করে থাকেন। সেই রীতি মেনেই এই বনভোজনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোপাল ভক্তরা।
আরও পড়ুন: BGBS 2025: বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে ‘উল্লেখযোগ্য সাফল্য’! প্রায় সা
খাবারের মেনুতে বিভিন্ন পদের আয়োজন (Arrangement Of Various Items In The Food Menu)
এই বনভোজনে সকলে মিলেই আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন। খাবারের মেনুতেও ছিল একাধিক পদ। অন্ন, ডাল, শাক, শুক্তো, পনীরের সবজি, চাটনি, পাঁপর, দই, শেষ পাতে ছিল মিষ্টান্ন ।