ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা। বাংলাদেশ বায়ুসেনার একটি এফ-৭ যুদ্ধবিমান সোমবার দুপুরে প্রশিক্ষণ ফ্লাইটের সময় উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনের উপর ভেঙে পড়ে (Plane Crash in Dhaka)। বিমানের ধাক্কায় স্কুলের ক্যান্টিনে ভয়াবহ আগুন লাগে। এখন পর্যন্ত দু’জনের মৃত্যু হয়েছে এবং অন্তত ২৮ জন দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। দগ্ধদের মধ্যে বেশির ভাগই ওই স্কুলের শিক্ষার্থী।
কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা? (Plane Crash in Dhaka)
বাংলাদেশের (Muhammad Yunus) স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৬ মিনিটে বিমানটি উড্ডয়ন করে(Plane Crash in Dhaka)।
- কিছুক্ষণ পরই বিমানের ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দেয় বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে।
- বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উত্তরার সেক্টর ১১-র মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাদে আছড়ে পড়ে।
- প্রথম আলো-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিমানটি ক্যান্টিনের ছাদে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই আগুন ধরে যায়।
বাংলাদেশ বায়ুসেনা জানিয়েছে, এটি একটি প্রশিক্ষণ বিমান ছিল। তবে পাইলটের অবস্থা বা তিনি নিরাপদে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন কিনা, তা নিয়ে এখনও বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।
উদ্ধার অভিযান ও পরিস্থিতি (Plane Crash in Dhaka)
- দুর্ঘটনার পরপরই দমকল বাহিনীর তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়(Plane Crash in Dhaka)।
- পুলিশ এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এলাকায় মোতায়েন হয়েছে যাতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- আহতদের মধ্যে ৪ জনকে হেলিকপ্টারে করে সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
- বাকিদের অ্যাম্বুল্যান্সে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
- সেনা জওয়ানদের কয়েকজনকে শিক্ষার্থীদের কোলে করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে দেখা গিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশ জানিয়েছেন, আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে যে ভবনের ভেতরে থাকা শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে যায়। অনেকে জানালা ভেঙে বের হতে চেষ্টা করেন।

আরও পড়ুন: Kakurgachi BJP Murder : কাঁকুড়গাছিতে বিজেপি কর্মী খুনের মামলায় দ্রুত শুনানির আর্জিও গ্রহণ আদালতের!
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্বেগ (Plane Crash in Dhaka)
দুর্ঘটনার সময় স্কুল ছুটি হয়ে গিয়েছিল, তবে কিছু শিক্ষার্থী তখনও স্কুল ভবনের ভিতরে ছিল(Plane Crash in Dhaka)।
- এক শিক্ষক সবুজ মিয়া জানান, “বিমানটি ধাক্কা দেওয়ার পর স্কুল ভবনের ক্যান্টিনে আগুন ধরে যায়। আমরা দ্রুত শিক্ষার্থীদের বাইরে বের করতে চেষ্টা করেছি।”
- অভিভাবিকা ফেরদৌসি বেগম বলেন, “আমার মেয়ে এখনও ভেতরে আটকে আছে, ওর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করতে পারছি না।”
- অন্য এক অভিভাবক লাকি আখতার জানিয়েছেন, তাঁর বড় সন্তান নিরাপদে বের হলেও ছোট সন্তান এখনও নিখোঁজ।

সরকারি প্রতিক্রিয়া ও শোক (Plane Crash in Dhaka)
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
- তিনি বলেছেন, “ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হয়েছে, তা অপূরণীয়।”
- মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
- দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
পূর্ববর্তী বিমান দুর্ঘটনার প্রেক্ষাপট (Plane Crash in Dhaka)
বাংলাদেশে বা উপমহাদেশে এ ধরনের দুর্ঘটনা নতুন নয়।
- সম্প্রতি ২০২৪ সালের জুন মাসে ভারতের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান স্থানীয় একটি এলাকায় ভেঙে পড়ে। মেঘানি নগরে চিকিৎসকদের হোস্টেলের উপর আছড়ে পড়া সেই দুর্ঘটনায় ২৬০ জন নিহত হয়েছিলেন।
- বাংলাদেশ বায়ুসেনার এফ-৭ বিমান অতীতেও কয়েকবার প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।

বর্তমান অবস্থা (Plane Crash in Dhaka)
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দগ্ধ ২৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক(Plane Crash in Dhaka)। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে। নিহতদের পরিচয় এখনও সম্পূর্ণভাবে জানা যায়নি। উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাইরে বর্তমানে উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও স্বজনদের ভিড়। পুলিশ ও সেনাবাহিনী নিরাপত্তা জোরদার করেছে।