ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: লন্ডন সাউথএন্ড বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ভেঙে পড়ল একটি যাত্রীবাহী বিমান(Plane Crash in London)। দুর্ঘটনায় গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে বিকট বিস্ফোরণে, আগুনে ঘিরে যায় ভেঙে পড়া বিমানের ভগ্নাবশেষ। ঘন কালো ধোঁয়া ঢেকে ফেলে আকাশ। ভারতীয় সময় অনুযায়ী রবিবার রাতে এবং স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা নাগাদ ঘটেছে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
কী ধরনের বিমান ছিল? (Plane Crash in London)
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার কবলে পড়া বিমানটি ছিল Beechcraft B200 Super King Air(Plane Crash in London)। ছোট ও মাঝারি রেঞ্জের এই টার্বোপ্রপ বিমানটির দৈর্ঘ্য ১২ মিটার। এটি সাধারণত ৯ জন যাত্রী এবং ২ জন বিমানকর্মী বহনে সক্ষম। বিমানটি নেদারল্যান্ডসের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। তবে ঠিক কী কারণে উড়ানের সঙ্গে সঙ্গে এটি ভেঙে পড়ল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা? (Plane Crash in London)
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, উড়ান নেওয়ার কিছু সময় পরেই বিমানটি নিচে নেমে আসে এবং বিকট শব্দে ভেঙে পড়ে (Plane Crash in London)। এরপরই বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায়, এবং মুহূর্তে পুরো বিমানটি আগুনের গোলায় পরিণত হয়। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “আমরা একটা বড় আওয়াজ শুনলাম। মনে হল যেন কিছু ভেঙে পড়ল। জানলা দিয়ে তাকাতেই দেখি দাউদাউ আগুন জ্বলছে, আর বিশাল ধোঁয়ার কুণ্ডলি আকাশে উঠছে।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিও (Plane Crash in London)
ঘটনার পরপরই সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ভেঙে পড়া বিমানের একাধিক ভিডিও ও ছবি (Plane Crash in London)। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিমানের ধ্বংসস্তূপ থেকে গলগল করে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে উদ্ধারকারী দল। যদিও এই ভিডিওগুলির সত্যতা নিশ্চিত করেনি কোনও কর্তৃপক্ষ।

উদ্ধারকাজে তৎপর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস
এসেক্স পুলিশ, ফায়ার ব্রিগেড, এবং এম্বুলেন্স সার্ভিস দ্রুত পৌঁছে যায় দুর্ঘটনাস্থলে (Plane Crash in London)। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আশেপাশের জনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে দেওয়া হয়। রচফোর্ড হান্ড্রেড গল্ফ ক্লাব এবং ওয়েস্টক্লিফ রাগবি ক্লাব-এর মত জনসমাগমস্থল খালি করে দেওয়া হয় নিরাপত্তার কারণে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, উদ্ধারকাজ চললেও বিমানটিতে ঠিক কতজন যাত্রী ছিলেন, এবং তাঁরা বেঁচে আছেন কিনা, সে সম্পর্কে এখনও কিছু বলা সম্ভব নয়।
এসেক্স পুলিশ, ফায়ার ব্রিগেড, এবং এম্বুলেন্স সার্ভিস দ্রুত পৌঁছে যায় দুর্ঘটনাস্থলে (Plane Crash in London)। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আশেপাশের জনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে দেওয়া হয়। রচফোর্ড হান্ড্রেড গল্ফ ক্লাব এবং ওয়েস্টক্লিফ রাগবি ক্লাব-এর মত জনসমাগমস্থল খালি করে দেওয়া হয় নিরাপত্তার কারণে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, উদ্ধারকাজ চললেও বিমানটিতে ঠিক কতজন যাত্রী ছিলেন, এবং তাঁরা বেঁচে আছেন কিনা, সে সম্পর্কে এখনও কিছু বলা সম্ভব নয়।
কী কারণে ভেঙে পড়ল বিমান? (Plane Crash in London)
এখনও দুর্ঘটনার কারণ স্পষ্ট নয়। যান্ত্রিক ত্রুটি, পাইলটের ভুল, কিংবা আবহাওয়া সংক্রান্ত কোনও সমস্যা — সব কিছুই তদন্তের আওতায় রয়েছে (Plane Crash in London)। বিমাননিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ব্ল্যাক বক্স ও বিমানের ফ্লাইট রেকর্ডার উদ্ধার করা গেলে কারণ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে।

অতীতেও ঘটেছে এই ধরনের দুর্ঘটনা (Plane Crash in London)
উল্লেখযোগ্য যে, সাম্প্রতিক সময়ে ছোট আকারের ব্যক্তিগত ও চার্টার বিমানের ক্ষেত্রে এমন দুর্ঘটনার হার বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার না হলে এর পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। এই ঘটনা আবারও মনে করিয়ে দিল কিছুদিন আগের এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) বিমান দুর্ঘটনার কথা।
লন্ডনের সাউথএন্ড বিমানবন্দরে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনা ফের একবার বিমান নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিল। এখন সকলের নজর, বিমানটিতে থাকা যাত্রী ও কর্মীদের খোঁজ এবং তাদের অবস্থা সম্পর্কে আরও নিশ্চিত তথ্যের দিকে। তদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে না। তবে এমন ঘটনায় বিশ্বজুড়ে বিমান যাত্রীরা একবার হলেও ভেবে দেখতে বাধ্য হবেন, তাঁরা আকাশে ঠিক কতটা নিরাপদ?