ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দুর্ঘটনায় কাটা পড়েছিল বাঁ পা (Plastic Leg)। ক্রাচের সাহায্যে চলাফেরা করলেও একপ্রকার অন্ধকারেই দিন কাটছিল চাকুলিয়া ব্লকের কাহালালগাঁওয়ের বাসিন্দা মোকসেদ আলমের (Moksed Alam)। প্রশাসনের সহযোগিতায় আশার আলো জ্বলল মোকসেদের জীবনে। দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে মেলা প্লাস্টিকের পায়ের সাহায্যে দিব্যি হেঁটে-চলে বেড়াচ্ছে মোকসেদ (Plastic Leg)।
প্লাস্টিকের পায়ে নতুন যাত্রা মোকসেদের (Plastic Leg)
দুর্ঘটনায় এক পা হারিয়ে জীবনের সঙ্গী হয়ে উঠেছিল ক্রাচ বা লাঠি (Plastic Leg)। তার সাহায্যে চলাফেরা করলেও বন্ধ হয়েছিল খেলাধুলা কিংবা সাইকেল চালানো। প্রশাসনের সহযোগিতায় অবশেষে কার্যত নতুন জীবন ফিরে পেল চাকুলিয়ার বাসিন্দা মোকসেদ আলম। দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে প্লাস্টিকের পা (Plastic Leg)। যার সাহায্যে হেঁটে-চলে বেড়ানোর সঙ্গে রীতিমতো দৌড়ঝাঁপ, সাইকেল চালানো সবটাই করতে পারছে মোকসেদ।
পা হারিয়ে ভেঙেছিল জীবনের স্বপ্ন (Plastic Leg)
মোকসেদ আলম, চাকুলিয়া ব্লকের কাহালালগাঁওয়ের বাসিন্দা (Plastic Leg)। স্থানীয় বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র। বাড়িতে রয়েছে বাবা মুজলু হক, মা জৈনগন বিবি এবং ৫ বোন ও ১ ভাই। মোকসেদের বয়স যখন ৬ বছর, তখন বাড়ি সংলগ্ন রাস্তায় ঘটে যায় এমন এক দুর্ঘটনা, যার জেরে তাঁর জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। সঙ্গী-সাথীদের সঙ্গে খেলাধুলা, বিদ্যালয়ে যাওয়ার বয়সে দুর্ঘটনায় বাঁ পা কাটা যায় মোকসেদের। তারপর থেকেই তাঁর হাঁটাচলার সঙ্গী হয়ে ওঠে ক্রাচ বা লাঠি। বন্ধুরা যখন সাইকেল নিয়ে বিদ্যালয়ে যেত কিংবা খেলাধুলা করতো, তখন স্বাভাবিকভাবেই মন খারাপ হত তাঁর।
আরও পড়ুন: Kabir Suman: ৭৫ বছরে প্রেমে পড়লেন কবীর সুমন, একফ্রেমে ধরা দিলেন প্রিয়তমার সাথে
ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা
ছেলের কষ্টে চোখের কোণে জল জমত বাবা-মায়েরও।কিন্তু নিম্নবিত্ত পরিবারের পক্ষে সম্ভব ছিলনা চিকিৎসার পেছনে বিপুল পরিমান টাকা খরচ করার। কিভাবে জীবন যুদ্ধে এগিয়ে যাবে ছেলে? তা ভেবেই কুল পাচ্ছিলেন না মোকসেদের বাবা-মা।

আশার আলো দেখাল ‘দুয়ারে সরকার’
সরকারি সাহায্যের আশায় সম্প্রতি ছেলেকে নিয়ে স্থানীয় দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে যোগাযোগ করেন বাবা মুজলু হোক ও মা জৈনগন বিবি। মোকসেদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসেন দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের আধিকারিকরা। সরকারের তরফে মোকসেদ আলমের হাতে তুলে দেওয়া হয় প্লাষ্টিকের পা। যার সাহায্যে রীতিমতো দৌড়ঝাঁপ, হেঁটে-চলে বেড়ানোর পাশাপাশি সাইকেল চালিয়েও ঘুরে বেড়াতে পারছে মোকসেদ আলম।
আরও পড়ুন: Jeetu -Srabanti: দৌড়ে গিয়ে শ্রাবন্তীকে জড়িয়ে ধরলেন জিতু, ভ্যালেন্টাইন্স ডে’তে সত্যি হল প্রেম!
নতুন স্বপ্নে বিভোর মোকসেদ
সরকারি সাহায্য পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ স্থানীয় প্রশাসনিক অধিকারিকদের ধন্যবাদ জানিয়েছে মোকসেদ ও তাঁর পরিবার। বন্ধুদের সঙ্গে সাইকেল চালিয়ে স্কুল যাওয়া থেকে শুরু করে খেলাধুলা, প্লাস্টিকের পায়ের সাহায্যে সবেতেই সক্ষম মোকসেদ। পা ফিরে পেয়ে ভবিষ্যতের রাস্তায় ছুটে চলার নতুন স্বপ্নে বিভোর মোকসেদ আলম।