Last Updated on [modified_date_only] by Debu Das
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : সরকারের ঘোষিত নতুন জিএসটি কাঠামোর (GST 2.0) এক দিন পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi On GST)বৃহস্পতিবার এই সংস্কারকে ভারতের অর্থনীতির জন্য “ডাবল ডোজ অফ সাপোর্ট অ্যান্ড গ্রোথ” বলে বর্ণনা করলেন। একই সঙ্গে ২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ইউপিএ সরকারের করনীতি নিয়েও তীব্র আক্রমণ শানালেন তিনি।
নতুন কাঠামোর রূপরেখা (PM Modi On GST)
বুধবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman) ৫৬তম জিএসটি কাউন্সিল বৈঠকের পর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের ঘোষণা দেন(PM Modi On GST)। এর মধ্যে প্রধানত উল্লেখযোগ্য—
- দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, ওষুধ ও অটোমোবাইলের উপর কর কমানো।
- বিলাসবহুল এবং ‘সিন গুডস’-এর জন্য বিশেষ উচ্চ করের স্ল্যাব চালু।
- পুরনো ১২ শতাংশ এবং ২৮ শতাংশ স্ল্যাব বাতিল।
নতুন কাঠামোতে ৫ শতাংশ ও ১৮ শতাংশের দুটি মূল স্ল্যাব রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বিলাসপণ্য ও ক্ষতিকর দ্রব্যের জন্য নতুন ৪০ শতাংশ কর স্ল্যাব প্রযোজ্য হবে। তবে তামাকজাত দ্রব্য ও সিগারেটে আপাতত ২৮ শতাংশ জিএসটি এবং ক্ষতিপূরণ সেস বহাল থাকবে, যতদিন না ঋণ শোধ হয়।
সঞ্চয় ও শক্তি দুই-ই আসবে,বললেন মোদি(PM Modi On GST)
নয়া করব্যবস্থাকে প্রশংসা করে মোদি বলেন, “মিডিয়া একে বলছে জিএসটি ২.০, কিন্তু আমি বলব এটি হলো দ্বিগুণ সঞ্চয় ও শক্তির সংস্কার(PM Modi On GST)। একদিকে সাধারণ পরিবারকে সঞ্চয়ের সুযোগ দেবে, অন্যদিকে দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “এই সংস্কার থেকে দরিদ্র, নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, কৃষক, মহিলা, ছাত্রছাত্রী, যুবক—প্রায় প্রত্যেকেই উপকৃত হবেন। পনির থেকে শুরু করে শ্যাম্পু, সাবান—সবকিছুর দাম কমে যাবে।”

ইউপিএ সরকারের প্রতি কটাক্ষ(PM Modi On GST)
এই সুযোগে মোদী ইউপিএ আমলের করনীতিকে আক্রমণ করেন (PM Modi On GST)। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, ২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত সময়কালে কর কাঠামো জটিল ছিল এবং তা সাধারণ মানুষ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছিল। বর্তমান সংস্কার সেই বোঝা লাঘব করবে বলেই তিনি দাবি করেন।
আরও পড়ুন : Flight Incident : বিজয়ওয়াড়া বিমানবন্দরে বিমানে আতঙ্ক!
কার্যকর হবে নবরাত্রির দিন থেকে (PM Modi On GST)
জিএসটি কাউন্সিল জানিয়েছে, নতুন কর কাঠামো কার্যকর হবে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে, যা এবছরের নবরাত্রির প্রথম দিন। উৎসবের মৌসুমে এই সংস্কার বাজারকে চাঙ্গা করবে এবং ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বাড়াবে বলেই আশা করা হচ্ছে।