ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দেশজুড়ে যক্ষ্মা (টিউবারকিউলোসিস) নির্মূলের(TB Elimination Campaign)লক্ষ্যে আরও তৎপর হল কেন্দ্রীয় সরকার। যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হল একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক, যেখানে আলোচনার মূল বিষয় ছিল যক্ষ্মা নির্মূল অভিযানের অগ্রগতি ও ভবিষ্যতের পরিকল্পনা।
যক্ষ্মা নির্মূলে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠক(TB Elimination Campaign)
২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বিশেষ অভিযান(TB Elimination Campaign) কতটা সাফল্য অর্জন করেছে, সেই বিষয়টিই মূলত পর্যালোচনা করা হয়েছে এই বৈঠকে। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা, স্বাস্থ্য সচিব পুণ্য সলিলা শ্রীবাস্তব ও প্রধানমন্ত্রীর দফতরের পদস্থ আধিকারিকরা। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে জানান, “ভারত থেকে যক্ষ্মা নির্মূলের লক্ষ্যে নেওয়া পদক্ষেপ নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই অভিযান শুরু হয়েছিল, যা ইতিমধ্যেই উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে। আমরা যক্ষ্মা মুক্ত ভারত গড়ার লক্ষ্যে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।”
২০৩০ সালের মধ্যে যক্ষ্মা মুক্ত বিশ্ব গড়ার পরিকল্পনা(TB Elimination Campaign)
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লক্ষ্য অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে যক্ষ্মা মুক্ত বিশ্ব(TB Elimination Campaign) গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে ভারত তার লক্ষ্য পাঁচ বছর আগেই পূরণ করতে চায়— অর্থাৎ ২০২৫ সালের মধ্যেই যক্ষ্মা নির্মূলের লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ভারতে প্রায় ২৬ লক্ষ মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হন। এই রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ‘ন্যাশনাল টিউবারকিউলোসিস এলিমিনেশন প্রোগ্রাম (এনটিইপি)’। উন্নত চিকিৎসা, উদ্ভাবনী পদক্ষেপ এবং সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে যক্ষ্মার বিরুদ্ধে এই লড়াই আরও কার্যকর হয়েছে।
যক্ষ্মার পিছনে অন্যতম বড় কারণ অপুষ্টি
বিশ্বব্যাপী গবেষণা বলছে, যক্ষ্মার পিছনে অন্যতম বড় কারণ অপুষ্টি। যদিও ভারতে যক্ষ্মা আক্রান্তদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ এই সমস্যায় ভোগেন। এই সমস্যা মোকাবিলায় সরকার চালু করেছে ‘নি-ক্ষয় পোষণ যোজনা’, যার মাধ্যমে যক্ষ্মা রোগীদের পুষ্টিগত সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে, ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতকে যক্ষ্মা মুক্ত করতে কেন্দ্র যে পরিকল্পনা নিয়েছে, তা সঠিক পথে অগ্রসর হচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জনসচেতনতা, পুষ্টি, চিকিৎসা ও সরকারি সদিচ্ছার সমন্বয়েই সফল হতে পারে এই ঐতিহাসিক লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: PM Modi: ‘পাকিস্তানে ঢুকে জবাব দেব!’ বায়ুসেনাঘাঁটিতে বুক চিতিয়ে হুঙ্কার মোদীর