ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আগামী বৃহস্পতিবার, ২২ মে, প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) নরেন্দ্র মোদী পশ্চিমবঙ্গে আসছেন এবং আলিপুরদুয়ারে দুটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন। তিনি সেখানে প্রশাসনিক সভায় যোগ দেবেন এবং একইদিন একটি জনসভাও করবেন। এই সফরের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্যের জন্য একাধিক প্রকল্পের সূচনা করতে পারেন, যদিও প্রশাসনিক সভার স্থান এখনও স্পষ্ট হয়নি। তবে, বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় বিষয়টি দেখছে।
রাজনৈতিক মহলে আলোচনা (PM Modi)
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে কেন্দ্র করে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে (PM Modi) অনেক আলোচনা চলছে। বিশেষত, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর এই সফর রাজ্য বিজেপির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফরের ফলে আলিপুরদুয়ারের রাজনৈতিক গুরুত্ব আরও বাড়ছে। গত কয়েক দিন ধরে বিজেপির নেতৃত্বাধীন দলটি এই সফরের প্রস্তুতি নিয়ে কাজ শুরু করেছে এবং তাঁরা কোন প্রকার খামতি রাখতে চাইছে না।
কোনো খামতি রাখবে না (PM Modi)
রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী এবং সাধারণ সম্পাদক দীপক বর্মণ (PM Modi) বৃহস্পতিবার সকালে জনসভাস্থল পরিদর্শন করেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন আরও অনেক বিজেপি নেতা। এই সফরকে কেন্দ্র করে দীপক বর্মণ জানিয়েছেন, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর প্রধানমন্ত্রী এই অঞ্চলে একটি প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রাজনৈতিক সভার প্রস্তুতি নিয়ে ইতিমধ্যেই তাঁরা কাজ শুরু করেছেন এবং কোনো খামতি রাখবে না বলে তিনি জানিয়েছেন।
আলিপুরদুয়ার একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল
প্রশ্ন উঠছে, কেন আলিপুরদুয়ারকেই এই সফরের জায়গা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে? দীপক বর্মণ এই বিষয়ে জানিয়েছেন, আলিপুরদুয়ারের অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশপথ এবং ‘সেভেন সিস্টার্স’-এর সঙ্গে সংযুক্ত। একদিকে যেমন সাতটি উত্তর-পূর্ব রাজ্য এখানে প্রতিবেশী, অন্যদিকে ‘চিকেনস নেক’ নামক গুরুত্বপূর্ণ পথও আলিপুরদুয়ারের মধ্য দিয়ে চলে। এই কারণে আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও আলিপুরদুয়ার একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। তাই প্রধানমন্ত্রী সম্ভবত এখানেই আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা
এছাড়া, রাজনৈতিক মহলের ধারণা, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা হবে এবং রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবে। বিশেষত, নির্বাচনের আগে এই ধরনের সফরের রাজনৈতিক প্রভাব অনেক বেশি হতে পারে, কারণ এটি রাজ্যবাসীর মনোভাবের ওপর একটি বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।

সুতরাং, প্রধানমন্ত্রীর এই সফর রাজ্য বিজেপির জন্য রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক দিক দিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে, এবং এই সফরের মাধ্যমে রাজ্যের সাধারণ মানুষের জন্য বিভিন্ন সুবিধা এবং প্রকল্পের সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে।