ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ট্রেনে বা বিমানে দীর্ঘ যাত্রার পর (POD Hotel) ক্লান্ত শরীরে বিশ্রামের খোঁজে হোটেল খুঁজতে বের হওয়া সত্যিই বিরক্তিকর একটা অভিজ্ঞতা। রাতের অন্ধকারে বা ব্যস্ত শহরে হোটেল খোঁজার ঝক্কিও কম নয়। সেই চিন্তা থেকেই দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন চালু করল অভিনব এক পরিষেবা—পড হোটেল, যেখানে মাত্র ৪০০ টাকায় মিলবে রাত্রিযাপনের সুব্যবস্থা।
স্বল্প সময়ের বিশ্রামের জন্য আদর্শ স্থান (POD Hotel)
নয়াদিল্লি মেট্রো স্টেশনে তৈরি এই পড হোটেল মূলত এক ব্যক্তির জন্য তৈরি ঘরানার (POD Hotel) একটি ছোট ইউনিট, যেখানে যাত্রী পাবেন পরিচ্ছন্ন বিছানা, ফ্রি ওয়াইফাই, স্নানঘর, লকার, এমনকি বিনোদনের ব্যবস্থাও। ট্রেন ধরার আগে বা পরে স্বল্প সময়ের বিশ্রামের জন্য এটি হতে পারে আদর্শ স্থান।
বড় স্বস্তির খবর (POD Hotel)
নয়াদিল্লি স্টেশনটি মেট্রোর হলুদ লাইন ও এয়ারপোর্ট এক্সপ্রেস লাইনের (POD Hotel) সংযোগস্থল হওয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী এখানে যাতায়াত করেন। এই ব্যস্ত কেন্দ্রে এমন একটি বিশ্রামস্থল যাত্রীদের জন্য নিঃসন্দেহে বড় স্বস্তির খবর। বিশেষ করে যাঁরা বিমানবন্দরের দিক থেকে আসছেন, তাঁদের জন্য এয়ারপোর্ট এক্সপ্রেস লাইনের মাধ্যমে এই স্টেশনে পৌঁছনো সহজ, এবং এখান থেকেই শহরের নানা প্রান্তে যাওয়া যায় হলুদ লাইনের মাধ্যমে।
মেট্রো স্টেশনে এটি প্রথম
ভারতের কিছু রেলস্টেশনে এর আগে পড রিটায়ারিং রুম চালু হলেও মেট্রো স্টেশনে এটি প্রথম। ফলে কর্মসূত্রে বা ভ্রমণে দিল্লি যাওয়া যাত্রীদের জন্য এটি হয়ে উঠতে পারে নিরাপদ ও স্বল্পমূল্যের বিকল্প।

মেট্রোই সবচেয়ে সুবিধাজনক উপায়
দিল্লি শহর ঘুরতে চাইলে মেট্রোই কিন্তু সবচেয়ে সুবিধাজনক উপায়। যেমন, চাঁদনি চক স্টেশন থেকে হেঁটেই পৌঁছে যাওয়া যায় লাল কেল্লা ও জামা মসজিদে। কুতুব মিনার দেখতে চাইলে নামতে হবে কুতুব মিনার মেট্রো স্টেশনে। লোটাস টেম্পল ঘুরতে হলে নেহরু প্যালেস স্টেশনেই নামা সবচেয়ে সহজ। আবার ইন্ডিয়া গেট ও রাষ্ট্রপতি ভবনের দিকে যেতে চাইলে সেন্ট্রাল সেক্রেটরিয়েট স্টেশন আদর্শ।
আরও পড়ুন: Bank Holidays: ১০ এপ্রিল মহাবীর জয়ন্তীতে একাধিক রাজ্যে বন্ধ থাকবে ব্যাংক
এইসব দ্রষ্টব্য স্থান ঘোরার পর বিশ্রামের জন্য যদি হাতের কাছেই থাকে এমন একটি পরিষেবা, তাহলে সফর তো সত্যিই নিখুঁত হয়ে উঠবে। দিল্লি মেট্রোর এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে আধুনিক যাত্রীবান্ধব শহর তৈরির পথে এক বড় পদক্ষেপ।