অভ্রদ্বীপ দাস, কলকাতা: রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মীর বাড়িতে মিলল ১০ কোটি টাকার হিরে। ব্যাঙ্ককর্মীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ১ কোটি টাকার সোনা পাওয়াও (Police seized diamond)। তার মধ্যে রয়েছে সোনার গয়না, সোনার বাট, সোনার কয়েন। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এই কর্মীর বিরুদ্ধে লকার থেকে চুরির অভিযোগে আগেই উঠেছিল। গ্রেফতার হয়েছিলেন ২জন।
এর আগে ধৃত ব্যাঙ্ককর্মীদের কসবা এবং নিউটাউনের (New Town) বাড়িতেও তল্লাশি চলে। সেখান থেকে উদ্ধার হয় ৬০ লক্ষ টাকার গয়না, ৩০ লক্ষ টাকা নগদ। এছাড়াও নগদ ৪৫ লক্ষ টাকায় কেনা গাড়ি এবং একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৫০ লক্ষ টাকার সম্পত্তির হদিশও মিলেছিল।

আরও পড়ুন: Gurap Incident: গুড়াপে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে খুন, ৫৪ দিন পর রায় ঘোষণা
আরও পড়ুন: Awas Yojana at Memari: ‘বাংলার বাড়ি’র টাকা থেকে ‘উন্নয়ন ফি’? অভিযোগে উত্তাল মেমারি
ব্যাঙ্কের লকার ইন চার্জের বিরুদ্ধেই গয়না চুরির অভিযোগ (Police seized diamond)
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের লকার ইন চার্জের বিরুদ্ধেই লকার থেকে গ্রাহকের গয়না চুরির অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল কয়েকদিন আগে। পার্ক স্ট্রিটের (Park Street) একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে এই ঘটনা ঘটে। তদন্তে নেমেছিল পুলিশ। এই ঘটনায় গ্রেফতার হন মৌমিতা এবং তাঁর দাদা মিঠুন। পার্ক স্ট্রিটের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের লকার ইন চার্জ ছিলেন মৌমিতা। তাঁর এবং তাঁর দাদার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল লকার থেকে গয়না চুরি করার। যাঁরা ওই ব্যাঙ্কের লকারে গয়না রাখতেন তাঁদের ভুল বুঝিয়ে চাবি নকল করে গয়না চুরি করতেন মৌমিতা এবং মিঠুন।
এই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। আগেই এই ব্যক্তিদের কসবা এবং নিউটাউনের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। এরপর ফের কসবার আরেকটি বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। আর সেখানে থেকেই উদ্ধার (Police seized diamond) হয়েছে কোটি কোটি টাকার হিরে এবং প্রায় এক কোটি টাকার সোনা।
আরও পড়ুন: TMC Worker Murder Case: কালিয়াচক কাণ্ডে গ্রেফতার ১, মূল চক্রীর চলছে খোঁজ
গত ডিসেম্বর প্রথম অভিযোগ আসে এক মহিলার তরফে। পার্ক স্ট্রিটের ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহক ছিলেন তিনি। সেখানেই লকার ছিল তাঁর। ব্যাঙ্ককে ভরসা করে রেখেছিলেন নিজের গয়নাও। মহিলা অভিযোগ করেন, তাঁর লকার থেকে গয়না উধাও হয়েছে। তদন্তে নামে পুলিশ। এরপরই নজরে আসে মৌমিতা এবং মিঠুনের কীর্তিকলাপ (Police seized diamond) । পুলিশ সূত্রে খবর, চাবি নকল করে ব্যাঙ্কের লকার থেকে গয়না চুরি করতেন মৌমিতা। তারপর সেই গয়না বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করতেন মিঠুন। ভাইবোন মিলিত ভাবে চালাচ্ছিলেন এই চোরা কারবার। এই দু’জনেরই কলকাতা শহরের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি বাড়ি রয়েছে। কসবা এবং নিউটাউনের দু’টি বাড়িতে আগেই হানা দিয়েছিল পুলিশ। সম্প্রতি কসবার (Kasba) আরও একটি বাড়িতে তাঁরা তল্লাশি চালিয়েছে। আর সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে এই বিপুল ধনসম্পত্তি।