ত্রয়ণ চক্রবর্তী, কলকাতা: দানা সামলাতে প্রস্তুত প্রশাসন। এ রাজ্যের সরকার যেমন একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে,তেমনই ওড়িশা প্রশাসনও। কেন্দ্রীয় সরকারও পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে। তবে এর মধ্যেই ডানা ঘূর্নিঝড়কে মাথায় রেখে জনসংযোগকে জোরদার করার চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি। বামরা যেমন ইতিমধ্যে তাদের রেড ভলেন্টিয়ার দলকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে,বিজেপি যুব মোর্চার তরফে খোলা হয়েছে হেল্প লাইন। পিছিয়ে নেই কংগ্রেসও।
২০০৯ এর আয়লার স্মৃতি কী ফেরাতে পারে ডানা, ইতিমধ্যে এই বিষয়ে চর্চা হলেও আবহাওয়াবিদদের মতে ওতটা না হলেও ডানার ঝাপটায় যথেষ্ঠ শক্তিশালী হতে পারে। ওড়িশা ও এরাজ্যের সরকার এই ঘূর্নিঝড়ের মোকাবিলায় নিয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। কেন্দ্রীয় সরকারও পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। তবে এই মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলির বিভিন্ন সংগঠনও এগিয়ে এসেছে। করোনা পরিস্থিতিতে বামেদের বিশেষত সিপিএমের ছাত্র-যুবদের নিয়ে তৈরি হয়েছিল রেড ভলেন্টিয়ার। সাধারণ মানুষকে সাহায্যের লক্ষ্যে যথেষ্ঠই প্রশংসা কুড়িয়েছিল তারা।
আরও পড়ুন: ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’, সর্বোচ্চ প্রভাব পড়তে পারে পূর্ব মেদিনীপুরে
এবারেই ঝড় পরবর্তী পরিস্থিতিতে তাদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে আরজি কর আন্দোলনের সঙ্গে তিলোত্তমা নামটি অতপ্রত ভাবে জড়িয়ে গেছে। সেই নামে অর্থাত তিলোত্তমা হেল্প লাইন খোলা হয়েছে। বিপদে পড়লে ওই হেল্প লাইনের একাধিক নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। তিলোত্তমা হেল্প লাইনের উদ্যোগ নিয়েছে এবিআরআই। অন্যদিকে প্রদেশ কংগ্রেসের তরফেও খোলা হয়েছে হেল্প লাইন। পিছিয়ে নেই পদ্ম শিবিরও। বিজেপির যুব মোর্চাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সোশাল মিডিয়ায় পোস্টারও ছড়িয়ে দিয়েছে তারা।
সেখানে কাঁথি, ঘাটাল, মেদিনীপুর, ডায়মন্ডহারবার, জয়নগর কলকাতা সহ আলাদা আলাদা জোন ধরে মোবাইল নম্বরও দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একটি অংশ মনে করেন শুধু সাহায্য তো কোনও রাজনৈতিক দলের একমাত্র উদ্দেশ্য হতে পারে না,সাহায্যের পাশাপাশি এর মধ্যে দিয়ে সাধারণ মানুষকে নিয়েদের দিকে জড়ো করারও একটা উদ্দেশ্য থাকে। তবে এই সাহায্য ভোট বাক্সে প্রতিফলিত হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে, কারণ করোনা পরিস্থিতিতে সিপিআইএমের রেড ভলেন্টিয়ার জনমানসে প্রভাব ফেললেও ২০২১ এর নির্বাচনে ভোট বাক্সে প্রতিফলিত হয়নি।