ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) পুনম গুপ্তাকে নতুন ডেপুটি গভর্নর হিসেবে নিয়োগ করেছে (RBI Deputy Governor)। এক দশকের বেশি সময় পর এই পদে কোনও মহিলা আসীন হলেন। এই নিয়োগ এমন এক সময়ে হয়েছে, যখন RBI অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে তার আর্থিক নীতি শিথিল করার কথা ভাবছে।
পুনম গুপ্তা একজন সুপরিচিত অর্থনীতিবিদ, বিশ্বব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে (আইএমএফ) প্রায় ২০ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। তিনি ভারতে একজন সরকারি উপদেষ্টাও ছিলেন।
বিশ্বব্যাংক ও IMF-এর অভিজ্ঞ অর্থনীতিবিদ (RBI Deputy Governor)
পুনম গুপ্তা একজন স্বনামধন্য অর্থনীতিবিদ (RBI Deputy Governor)। বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে (IMF) প্রায় ২০ বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। এছাড়া, তিনি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টাও ছিলেন। এর আগে, তিনি ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ অ্যাপ্লায়েড ইকোনমিক রিসার্চ (NCAER)-এর মহাপরিচালক পদে ছিলেন। দিল্লির এই প্রতিষ্ঠানটি দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ থিঙ্ক ট্যাঙ্ক।
মাইকেল পাত্রার জায়গায় এলেন পুনম গুপ্তা (RBI Deputy Governor)
পুনম গুপ্তা মাইকেল পাত্রার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন (RBI Deputy Governor)। পাত্রা RBI-এর আর্থিক নীতি দফতরের প্রধান ছিলেন এবং জানুয়ারি মাসে অবসর গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: Amit Shah vs Akhilesh Yadav: ‘আপনি ২৫ বছর শুধু সপা-র প্রেসিডেন্ট থাকবেন’, অখিলেশকে আক্রমণ শাহের
আরবিআইয়ের মনিটারি পলিসি কমিটিতে যোগ দেবেন
পুনম গুপ্তা RBI-এর মনিটারি পলিসি কমিটি (MPC)-তে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। নতুন গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রার নেতৃত্বে এই কমিটি পাঁচ বছর পর প্রথমবার সুদের হার কমিয়েছে।
অর্থনীতি নিয়ে তার মতামত
পুনম গুপ্তা দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ইস্যু নিয়ে মত প্রকাশ করে আসছেন। সাম্প্রতিক নিবন্ধগুলিতে তিনি ভারতের মুদ্রা বিনিময় হার আরও নমনীয় করার পক্ষে মত দিয়েছেন, যাতে দেশ ভালোভাবে আর্থিক ধাক্কা সামলাতে পারে।
আরও পড়ুন: Ajmer Dargah: আজমের দরগায় ৩ তরোয়াল হাতে অর্ধনগ্ন যুবক! প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা
চলতি বছরের মার্চ মাসে দ্য ইকোনমিক টাইমস-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তিনি বলেন, ভারতকে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে।
মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে বিশেষ গুরুত্ব
তিনি মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের ওপর জোর দিয়েছেন এবং সুপারিশ করেছেন যে মুদ্রাস্ফীতির সূচকে খাদ্যদ্রব্যের মূল্যের গুরুত্ব নতুনভাবে নির্ধারণ করা উচিত। তার এই বিশ্লেষণ RBI ও কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে, কারণ ২০২৬ সালে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের নীতি পুনর্বিবেচনা করা হবে।