ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মানবাধিকার আইনজীবী আমাল ক্লুনি, যিনি আমেরিকান অভিনেতা জর্জ ক্লুনির স্ত্রী, শীঘ্রই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হতে পারেন (US Sanction on Amal Clooney)। সম্প্রতি, আমাল সহ একদল সিনিয়র ব্রিটিশ আইনজীবীকে ‘সতর্ক’ করা হয়েছিল যে তারা শীঘ্রই মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হতে পারেন, যা সম্ভবত তাদের সেই দেশে প্রবেশের উপর প্রভাব ফেলবে।
এই উদ্বেগটি ইজরায়েল এবং গাজার পরিস্থিতির তদন্তে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) এর জন্য আমালের কাজ এবং পরামর্শের সঙ্গে যুক্ত, যার ফলে ইজরায়েলি নেতা বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল।
আইসিসি-র তদন্তে ভূমিকা ও ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ (US Sanction on Amal Clooney)
বিখ্যাত মানবাধিকার আইনজীবী ও অভিনেতা জর্জ ক্লুনির স্ত্রী আমাল ক্লুনি বর্তমানে আমেরিকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে পারেন (US Sanction on Amal Clooney)। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)-এর একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেলে কাজ করেছেন, যারা ইজরায়েল ও গাজা সংঘাতের সময় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়াভ গালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির সুপারিশ করেন।
এই প্রেক্ষিতে, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশ (Executive Order 14203) জারি করেন, যা আইসিসি ও এর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষমতা প্রদান করে। এই আদেশ অনুযায়ী, আইসিসি-র কর্মী, উপদেষ্টা ও তাদের পরিবারবর্গের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা, সম্পদ বাজেয়াপ্ত হওয়া এবং আর্থিক লেনদেন বন্ধের মতো পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন: Mount Everest New Rule: এভারেস্টে উঠতে নতুন নিয়ম! অভিজ্ঞ পর্বতারোহীদের জন্যই অনুমতি, ফি বাড়ছে ৩৬%
অ্যামেরিকার সতর্কতা ও আমালের উপর সম্ভাব্য প্রভাব (US Sanction on Amal Clooney)
অ্যামেরিকার বিদেশ মন্ত্রক ইতিমধ্যে আমাল ক্লুনি সহ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় ব্রিটিশ আইনজীবীকে সতর্ক করেছে যে, তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে আমাল ক্লুনি, যিনি বর্তমানে নিউ ইয়র্কে স্বামী জর্জ ক্লুনি ও তাদের যমজ সন্তানদের সঙ্গে বসবাস করছেন, তিনি আমেরিকায় প্রবেশে বাধার সম্মুখীন হতে পারেন।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও আইনি স্বাধীনতা
এই সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক আইনি সম্প্রদায়ে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের স্বাধীনতা ও মানবাধিকার রক্ষায় নিয়োজিত পেশাজীবীদের স্বাধীনতাকে খর্ব করতে পারে। আমাল ক্লুনি নিজেও আইনের শাসন ও মানবাধিকার রক্ষায় তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
নতুন চ্যালেঞ্জ
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে আমাল ক্লুনি ও অন্যান্য ব্রিটিশ আইনজীবীরা বর্তমানে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে পারেন। এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক আইনি স্বাধীনতা ও মানবাধিকার রক্ষায় নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।