ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: বর্তমান সময়ে নিরাপদ (Post Office Scheme) বিনিয়োগ খোঁজা যেন এক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শেয়ার বাজারে অস্থিরতা, ব্যাঙ্কের কম সুদের হার সব মিলিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারী দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। তবে এই পরিস্থিতিতে অনেকেই ভরসা রাখছেন ডাকঘরের বিভিন্ন সঞ্চয় প্রকল্পের উপর, যেগুলি শুধু নিরাপদই নয়, বরং ব্যাঙ্কের থেকে অনেক বেশি সুদের রিটার্নও দিয়ে থাকে।
মাসিক আয়ের নিশ্চয়তা: পোস্ট অফিস মাসিক আয় স্কিম (Post Office Scheme)
যাঁরা নিয়মিত মাসে মাসে আয় চান, তাঁদের জন্য এই স্কিম (Post Office Scheme) আদর্শ। এই প্রকল্পে বার্ষিক ৭.৪ শতাংশ সুদ মেলে, যা প্রতি মাসে অ্যাকাউন্টে জমা হয়। স্কিমটির মেয়াদ ৫ বছর। একজন ব্যক্তি একক অ্যাকাউন্টে সর্বাধিক ৯ লক্ষ টাকা এবং যৌথ অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারেন।
অবসরপ্রাপ্তদের জন্য সেরা বিকল্প: সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম (Post Office Scheme)
৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ব্যক্তিদের জন্য এটি একটি আকর্ষণীয় (Post Office Scheme) স্কিম। বার্ষিক ৮.২ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যায়, যা প্রতি তিন মাস অন্তর জমা হয়। কর ছাড়ের সুবিধাও রয়েছে, ফলে এটি অবসরপ্রাপ্তদের জন্য দ্বিগুণ লাভের পথ খুলে দেয়।
ছোট সঞ্চয়ের বড় সুযোগ: রেকারিং ডিপোজিট স্কিম
যাঁরা প্রতি মাসে ছোট অঙ্কে সঞ্চয় করতে চান, তাঁদের জন্য এই স্কিমটি উপযুক্ত। মাত্র ১০০ টাকা মাসিক জমা দিয়ে এই স্কিম শুরু করা যায়। জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০২৫-এর জন্য এই স্কিমে বার্ষিক সুদের হার ৬.৭ শতাংশ নির্ধারিত হয়েছে।

মেয়ের ভবিষ্যতের জন্য: সুকন্যা সমৃদ্ধি স্কিম
কন্যা সন্তানের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে তৈরি এই প্রকল্পে বর্তমানে বার্ষিক ৮.২ শতাংশ সুদ দেওয়া হচ্ছে। বার্ষিক ২৫০ টাকা থেকে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যায়। মেয়ের বয়স ২১ বছর হলে অথবা বিয়ের পরে স্কিম ম্যাচিউর করে। কর ছাড়ের সুবিধাও রয়েছে।
টাকা দ্বিগুণ করার প্রকল্প: কিষাণ বিকাশ পত্র
এই প্রকল্পে ৭.৫ শতাংশ বার্ষিক সুদের মাধ্যমে প্রায় ১১৫ মাসে অর্থাৎ সাড়ে ৯ বছরে বিনিয়োগ দ্বিগুণ হয়। বিশেষ সুবিধা এই প্রকল্পে বিনিয়োগের কোনও সর্বোচ্চ সীমা নেই।
আরও পড়ুন: Shani Shawan Yog: ১৩৮ দিনের প্রতিগামী শনি, কোন রাশির ভাগ্যে খুলবে উন্নতি ও সাফল্যের দ্বার?
সব মিলিয়ে পোস্ট অফিসের এই স্কিমগুলি শুধুই নিরাপদ নয়, বরং স্থায়ী আয় এবং কর সাশ্রয়েরও সুযোগ দেয়। তবে বিনিয়োগের আগে আর্থিক উপদেষ্টার সঙ্গে পরামর্শ করা সর্বদা শ্রেয়। কারণ, সঠিক পরিকল্পনাই ভবিষ্যতের আর্থিক নিরাপত্তার চাবিকাঠি।