ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ, যা এককালে (Prayagraj Tour) প্রয়াগতীর্থ নামে পরিচিত ছিল, ভারতের ইতিহাসে তা একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এই শহরটি মহাকুম্ভমেলার জন্য পরিচিত, তবে এটি শুধুমাত্র তীর্থভ্রমণের জন্য নয়। বরং, এখানে এসে শহরের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান ও সংস্কৃতি দর্শনের সুযোগ রয়েছে। তাই হাতে সময় থাকলে চট করে ইতিহাসের অলিগলিতে একটু ঢুঁ মেরে আসাই যায়।
অক্ষয় বট (Prayagraj Tour)
প্রয়াগরাজের ইতিহাস ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত সম্রাট (Prayagraj Tour) আকবরের সঙ্গে। তিনি ১৫৮৩ সালে তৈরি করেছিলেন ইলাহাবাদ কেল্লা, যা আকবর ফোর্ট নামেও পরিচিত। এই দুর্গটি ছিল প্রতিরোধের লক্ষ্যে নির্মিত। ইতিহাসবিদদের মতে, দুর্গটি তৈরি করার জন্য আকবরকে নানা বাধার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল। এখানে রয়েছে ‘অক্ষয় বট’, যা হিন্দু পুরাণে পাপমুক্তির প্রতীক। এই বটের ইতিহাসও আকবরের সঙ্গে জড়িত, যদিও তার পুত্র জাহাঙ্গির এর ক্ষতি করেছিলেন। তাও অবিরত বেড়ে চলেছে এই অক্ষয় বট।
খুসরো বাগ (Prayagraj Tour)
প্রয়াগরাজে খুসরো বাগও একটি (Prayagraj Tour) দর্শনীয় স্থান। এটি আকবরের দুর্গের নিকটবর্তী স্থান এবং ৪০ একর জায়গায় বিস্তৃত। এখানে রয়েছে চারটি স্মৃতিসৌধ, যার মধ্যে রয়েছে জাহাঙ্গিরের স্ত্রী শাহ বেগমের ও খুসরো মির্জার স্মৃতিসৌধ। মোগল স্থাপত্যের বিশেষত্ব এখানে স্পষ্ট।
আনন্দ ভবন
শহরের আরেকটি উল্লেখযোগ্য স্থান হল আনন্দ ভবন, যা নেহরু পরিবারের প্রাক্তন (Prayagraj Tour) বাসভবন। এখানে বর্তমানে একটি মিউজিয়াম রয়েছে, যেখানে ভারতের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রাখা হয়েছে। স্বরাজ ভবনও একইভাবে ইতিহাসের অংশ, যা ১৮৭১ সালে নির্মিত হয় এবং নেহরু পরিবারের বাসভবন ছিল।
অল সেন্টস ক্যাথিড্রাল
প্রয়াগরাজের অল সেন্টস ক্যাথিড্রাল, বা পত্থর গির্জা(Prayagraj Tour) , ব্রিটিশ স্থপতি উইলিয়াম এমার্সনের ডিজাইন করা গথিক স্থাপত্যের একটি উদাহরণ।
ইলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়
অন্যদিকে, ইলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্যও দর্শনীয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ভবনটির গম্বুজটি নীল পাথরে তৈরি, যা ব্রিটিশ এবং ইসলামী স্থাপত্যের এক সুন্দর মিশ্রণ।
থর্নহিল মেইন মেমোরিয়াল
সবশেষে, প্রয়াগরাজের সাধারণ গ্রন্থাগার, যা থর্নহিল মেইন মেমোরিয়াল নামেও পরিচিত, উত্তরপ্রদেশের অন্যতম বৃহত্তম গ্রন্থাগার। এর স্থাপত্য স্কটল্যান্ডের সংস্কৃতির দ্বারা অনুপ্রাণিত। এই গ্রন্থাগারে রয়েছে, দেশের বিদেশের নানান দুষ্প্রাপ্য বই।
প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভমেলা দেখতে যাওয়ার সময়, এই ঐতিহাসিক স্থানগুলোও দেখে আসতেই পারেন। এটি একটি নিছক তীর্থভ্রমণ নয়, বরং ইতিহাসের এক ভিন্ন ভ্রমণ হবে তাহলে।