ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ওয়াকফ সংশোধনী বিলে(Waqf Amendment Bill)সই করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁর স্বাক্ষরের সঙ্গে সঙ্গেই আইনে পরিণত হল বিলটি। গত বৃহস্পতিবার বিরোধীদের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও লোকসভা ও শুক্রবার রাজ্যসভায় পাশ হয় ওয়াকফ সংশোধনী বিল। এর পর নিয়ম অনুযায়ী বিলটি পাঠানো হয়েছিল রাষ্ট্রপতিভবনে। শনিবার এই বিলে স্বাক্ষর করলেন রাষ্ট্রপতি। ফলে মাত্র তিন দিনেই আইনে পরিণত হল মোদি সরকারের আনা ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৫।
ওয়াকফ সংশোধনী বিলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন(Waqf Amendment Bill)
গত বুধবার গভীর রাতে সরকার ও বিরোধী পক্ষের দীর্ঘ বিতর্কের পরে লোকসভায় ৫৬ ভোটের ব্যবধানে পাশ হয়েছিল ওয়াকফ সংশোধনী বিল। পক্ষে পড়েছিল ২৮৮টি ভোট। বিপক্ষে পড়েছিল ২৩২টি ভোট। এর পরে ১২৮-৯৫ ভোটে রাজ্যসভায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পাশ হয়েছিল এই ওয়াকফ সংশোধনী বিল(Waqf Amendment Bill)। লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাশ হওয়া বিল অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল রাষ্ট্রপতি ভবনে। শনিবার রাতে তাতে সই করলেন রাষ্ট্রপতি। সেই সিলমোহর পাওয়ায় ওই বিল পরিণত হল আইনে।
বিল পুরোপুরি অসাংবিধানিক, দাবি বিরোধীদের(Waqf Amendment Bill)
তবে ওয়াকফ সংশোধনী বিল(Waqf Amendment Bill) আইনে পরিণত হলেও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। বিজেপির দাবি, এই বিল আইনে পরিণত হলে কোটি কোটি প্রান্তিক মুসলিম সমাজ উপকৃত হবেন। এতদিন ধরে গুটিকয়েক প্রভাবশালীর হাতে কুক্ষিগত ওয়াকফ সম্পত্তি মুক্ত হবে এবং সাধারণ মুসলিমরা উপকৃত হবেন। যদিও বিরোধীদের দাবি, এই বিল পুরোপুরি অসাংবিধানিক। এটা আসলে পরিকল্পিতভাবে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ।
আরও পড়ুন: Shocking Display Board: ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডে ফুটে উঠছে ‘ফ্রি স্পা এবং সেক্স’, হতবাক হোটেল মালিক
আইন আটকাতে শীর্ষ আদালতে মামলা
ইতিমধ্যেই এই আইনকে আটকাতে শীর্ষ আদালতে দায়ের হয়েছে মামলা। আদালতে দায়ের মামলায় দাবি করা হয়েছে, বিলটি সংবিধানের ১৪, ২৪, ২৬, ২৯ এবং ৩০০এ ধারা লঙ্ঘন করছে। যে যে ধারা উল্লেখ করা হয়েছে তা হল, সমানাধিকার, ধর্মাচারণের অধিকার, ধর্মীয় বিষয় পরিচালনার স্বাধীনতা, সংখ্যালঘু অধিকার এবং সম্পত্তির অধিকার।
বিলে মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে দাবি করা হয়েছে, এই বিলে সেন্ট্রাল ওয়াকফ কাউন্সিল এবং স্টেট ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের রাখার কথা বলা হয়েছে। যা নিয়েও আপত্তি তোলা হয়েছে। উল্লেখ্য, লোকসভায় দীর্ঘ ১৩ এবং রাজ্যসভায় দীর্ঘ ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিতর্ক চলার পরে উভয় কক্ষে পাশ হয়েছিল সংশোধনী বিল। অবশেষে তা আইনে পরিণত হল। যদিও আগেই সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করে আদালতে দায়ের হয়েছে মামলা।