ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ব্রিটেনের রাজকুমার হ্যারি এবং তাঁর স্ত্রী মেগান মর্কেল (Prince Harry residing in the US) যখন ২০২০ সালে রাজপরিবার ত্যাগ করে আমেরিকায় চলে যান, তখন থেকেই তাঁদের বসবাস নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছিল। তাঁদের ভিসা বৈধতা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছিল, বিশেষ করে হ্যারি তাঁর আত্মজীবনীতে মাদক সেবনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনার পর। এই সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প।
হ্যারি-মেগানের জীবন আমেরিকায় (Prince Harry residing in the US)
২০২০ সালে, রাজপরিবার ত্যাগের পর হ্যারি ও মেগান আমেরিকার ক্যালিফর্নিয়ায় (Prince Harry residing in the US) বসবাস শুরু করেন। সেখানে তাঁরা নতুন জীবন শুরু করেন এবং অনেক সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হন। তবে, হ্যারি ও মেগান আমেরিকায় বসবাস শুরু করার পরই ভিসার বৈধতা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। অভিযোগ ওঠে, হ্যারি তাঁর ভিসা আবেদনের সময় মাদক সেবন সংক্রান্ত তথ্য গোপন করেছেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রক্রিয়ায় একটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। তাঁর আত্মজীবনী প্রকাশের পর বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে, যেখানে তিনি মাদক সেবনের কথা উল্লেখ করেছিলেন।
ট্রাম্পের মন্তব্য (Prince Harry residing in the US)
নিউ ইয়র্ক পোস্ট-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প (Prince Harry residing in the US) বলেছেন, ‘‘আমি এখনই ওটা করতে চাই না। ওঁকে (হ্যারিকে) ছেড়ে দিতে চাই। নিজের স্ত্রীকে নিয়ে যথেষ্ট সমস্যায় আছেন উনি। আর সমস্যা বাড়াতে চাই না।’’ তাঁর এই মন্তব্যে স্পষ্ট যে, ট্রাম্প এখনও হ্যারি-মেগানকে দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে কিছু ভাবছেন না। ট্রাম্পের এই মন্তব্য অনেকের কাছেই চমকপ্রদ ছিল, কারণ তাঁর প্রশাসন অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পরিচিত।
আরও পড়ুন: Hamas: পাকিস্তানের দুই জঙ্গি গোষ্ঠীর সাথে ‘মহাজোট’ বাঁধছে হামাস! নতুন করে হামলার ছক?
ভিসা সমস্যা এবং ট্রাম্পের অবস্থান
হ্যারি ও মেগানের আমেরিকায় বসবাস শুরু করার পর থেকেই ভিসা নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে। যদিও হ্যারি এর আগে দাবি করেছিলেন যে, তিনি মাদক সেবন করেননি, কিন্তু তাঁর আত্মজীবনী প্রকাশের পর বিষয়টি বিতর্কিত হয়ে ওঠে। এমন পরিস্থিতিতে, ২০২৪ সালের শুরুর দিকে, ট্রাম্প এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, যদি তিনি আবার ক্ষমতায় আসেন, তবে হ্যারি-মেগানের ভিসা সংক্রান্ত মিথ্যাভাষণের বিষয়ে তিনি পদক্ষেপ নেবেন।

ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতি
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরেই অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি শয়ে শয়ে মানুষকে ‘অবৈধবাসী’ বলে চিহ্নিত করে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর কাজ করছেন। তবে হ্যারি ও মেগানকে নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্য নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি করেছে। যদিও তাঁর প্রশাসন সাধারণত কঠোর পদক্ষেপ নিলেও, এই বিশেষ ক্ষেত্রে তিনি আপাতত কোনও পদক্ষেপ নেবেন না বলে জানিয়েছেন।
বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে হ্যারি
ব্রিটেনের রাজপরিবারের সদস্য হ্যারি এবং মেগান যে নানা কারণে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন, তা নিশ্চিত। কিন্তু আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মন্তব্যে বোঝা যাচ্ছে, তিনি এখনই তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর চিন্তা করছেন না। তাঁদের ভিসা বৈধতা এবং মিথ্যাভাষণের বিষয়ে ভবিষ্যতে কী হবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে ট্রাম্পের মন্তব্য একথা স্পষ্ট করে দেয় যে, হ্যারি এবং মেগানকে নিয়ে অযথা বিতর্ক বাড়াতে চান না তিনি।