Last Updated on [modified_date_only] by Sumana Bera
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: হিন্দু রাজতন্ত্রের দাবি নেপালে। যাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, জ্বলল আগুন (Violent in Nepal)। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। সংঘর্ষে জখম কমপক্ষে ৩০। সংঘর্ষে ইতিমধ্যেই ১০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। শুক্রবার কাঠমান্ডুতে কারফিউ জারি করা হলেও শনিবার সকালে তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
‘দেশকে বাঁচাতে রাজা ফিরে আসুন’, ‘আমরা রাজতন্ত্র ফেরত চাই’- এই দাবি তুলে নেপালে বিক্ষোভ মিছিল। আর সেই মিছিল থেকেই ছড়াল হিংসা। রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরী হল নেপালে। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে মৃত ২, জখম কমপক্ষে ৩০।

পরশি রাজ্যে জারি কারফিউ (Violent in Nepal)
সময়টা তখন ২০০৮ সাল। সংসদীয় ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে শেষ হয় নেপালের ২৪০ বছরের রাজতন্ত্র (Violent in Nepal)। তারপর থেকে অনেকেই রাজতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে সরব হয়েছিলেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই দাবি চাপা পরে যায়। আর গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ছিল নেপালের গণতান্ত্রিক দিবস। সেই উপলক্ষ্যে প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহ একটি ভিডিও বার্তা দেন। ভিডিও বার্তার পরেই ফের নতুন করে মাথাচাড়া দেয় রাজতন্ত্র ফেরানোর দাবি।
আরও পড়ুন: Baby Birth On Streets: ভূমিকম্পের জেরে খালি করতে হল হাসপাতাল, রাস্তাতেই জন্ম শিশুর
শুক্রবার পূর্ব কাঠমান্ডুর তিনকুনে মিছিলে জমায়েত হন হাজার-হাজার মানুষ (Violent in Nepal)। রাজা জ্ঞানেন্দ্রর ছবি এবং নেপালের জাতীয় পতাকা নিয়ে পথে নামেন তাঁরা। ওঠে ‘দেশকে বাঁচাতে রাজা ফিরে আসুন’, ‘দুর্নীতিবাজ সরকারের পতন হোক’, ‘আমরা রাজতন্ত্র ফেরত চাই’ স্লোগান। বিক্ষোভকারীদের আটকাতে ব্যারিকেড দেওয়া হয় পুলিশের তরফে।কিন্তু সেই ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেন বিক্ষোভকারীরা। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।

শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের খণ্ডযুদ্ধ। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। বেশ কিছু বাড়ি জ্বালিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা (Violent in Nepal)।আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় আটটি গাড়িতে।ইটবৃষ্টি শুরু হতেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বানেশ্বরে একটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। লুটপাঠ চালানো হয় সুপারমার্কেটে। বাদ যায়নি সংবাদমাধ্যমের অফিসও।ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় সেখানে।
আরও পড়ুন: Myanmar Earthquake: ভুমিকম্প মায়ানমারে! সঙ্গে কাঁপল কলকাতাও
সংঘর্ষ চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় এক বিক্ষোভকারীর। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক সাংবাদিকেরও। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ময়দানে নামে পুলিশ ও সেনা। জলকামান ও টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে জনতাকে সরানো হয়। বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে শুক্রবারই তিনকুনে, সিনামঙ্গল, কোটেশ্বর এলাকায় কারফিউ জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় (Violent in Nepal)। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক, পুলিশের ডিজি দীপক থাপা এবং কাঠমান্ডুর প্রধান জেলা আধিকারিক ঋষি রাম তিওয়ারির উপস্থিতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে আলোচনা হয়। সেই আলোচনাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

নেপালের সংঘর্ষে ইতিমধ্যেই ১০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পরিস্থিতি সামালাতে বিমানবন্দর, গৌশালা, বানেশ্বর চক, তিনকুনে, কোটেশ্বর-সহ বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ জারি করা হয় (Violent in Nepal)। প্রাথমিকভাবে রাত ১০ টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে কারফিউর সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়। আজ সকালে কারফিউ প্রত্যাহার করা হয়েছে।