ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ‘মালিক’ সিনেমার এক প্রচার অনুষ্ঠানে ভাষা সংক্রান্ত বিতর্কে (Prosenjit Chatterjee Controversy) জড়িয়ে পড়েছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
দেশ জুড়ে ভাষা বিতর্কের মাঝে কী বললেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee Controversy)
বাংলা হোক হিন্দি, দুই জায়গাতেই দীর্ঘদিন ধরে দাপটের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর (Prosenjit Chatterjee Controversy) যেকোনো সিনেমার ট্রেলার লঞ্চ হোক বা সিনেমা মুক্তি দর্শকদের মধ্যে যেমন উৎসাহ দেখা যায় তেমনই হিন্দি সিনেমার বড় বড় অভিনেতাদের দেখা যায় সোশ্যাল মাধ্যমে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্ট করতে।
সদ্য ‘মালিক’ সিনেমার এক প্রচার অনুষ্ঠানে ভাষা সংক্রান্ত এক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee Controversy)। বাংলা এখন শুধুমাত্র আর ভাষা নয় বাংলা ভাষা এখন এসে পড়েছে রাজনীতির আঙিনায়। তৃণমূল আর বিজেপির মধ্যে কার্যত দড়ি টানাটানি চলছে এই নিয়ে।
বাংলা বলার অভিযোগে, পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থার কথা, সাধারণ মানুষদের হয়রানির কথা বারে বারেই উঠে আসছে খবরে। এই নিয়ে তৃণমূল যেমন বিজেপিকে আক্রমণ করছেন তেমনই বিজেপিও পাল্টা তার উত্তর দিচ্ছে। দিল্লি, রাজস্থান, ওড়িশা, ছত্তীসগঢ়, মহারাষ্ট্র- সহ বিভিন্ন রাজ্যে বাংলায় কথা বলায় বারবার শুনতে হচ্ছে বাংলাদেশি তকমা। এটা নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ভোটের আগে কার্যত এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে বিজেপির বিরুদ্ধে ময়দানে নেমেছে তৃণমূল।

আরও পড়ুন: Apu-Bubly: আমেরিকায় একান্তে শাকিব-বুবলি, অপুর রিঅ্যাকশনে ঝড় নেট পাড়ায়!
বহু মানুষের মতো এই বিষয় নিয়ে এবার মুখ খুললেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সদ্য একটি অনুষ্ঠানে এসে, বাংলা ভাষা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রসেনজিৎ বলেন, ‘ভাষা নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী একটা বার্তা দিয়েছেন। আমি বলতে পারি, বাংলা ভাষা ছিল, আছে, থাকবে। তার জন্য যে কোনও লড়াই করতে হয়, আমরা করব।’

প্রসঙ্গত বাংলা ভাষা সংক্রান্ত বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। মুম্বইতে একটি হিন্দি ছবির প্রচারে সাংবাদিক সম্মেলনে এক সাংবাদিক অভিনেতাকে বাংলায় প্রশ্ন করলে, তিনি (Prosenjit Chatterjee Controversy) সেই সাংবাদিককে বাংলা বলতে নিষেধ করেন। হিন্দি বা ইংরাজীতে প্রশ্ন করতে বলেন। কিন্তু থামিয়ে দেন রাজকুমার রাও। তিনি বলেন যে, তিনি বাংলা বোঝেন। পরে অবশ্য তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষমাও চেয়েছিলেন ভাবাবেগে আঘাত করার জন্য। আপাতত দেখার ভাষার তরজা কতদূর পর্যন্ত পৌছায়।