ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ওয়ারঙ্গলে পতিতাবৃত্তি ও মাদক চক্রের অভিযোগে পুলিশ এক (Prostitution and Drug Trafficking Case) মহিলাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন নাবালিকা মেয়েও রয়েছে। এই চক্রটি ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে মেয়েদের ফাঁদে ফেলছে বলে জানা গেছে। পুলিশের মতে, এই চক্রের মূল লক্ষ্য ছিল মেয়েদের মাদকাসক্ত করে যৌনকর্মে বাধ্য করা। ওয়ারঙ্গল জেলার দামেরা মণ্ডলের লিয়াডেলা গ্রামে এই পতিতালয়টি পরিচালিত হতো।
নিখোঁজের তদন্তে (Prostitution and Drug Trafficking Case)
এই চক্রের উন্মোচন ঘটে একটি নিখোঁজ মেয়ের মামলা (Prostitution and Drug Trafficking Case) তদন্তের সময়। ১১ মার্চ আজমজাহি মিলস থানায় মেয়েটির নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয়। একই দিনে মুলুগু ক্রস রোডে তাকে পাওয়া যায়। মেয়েটি জানায়, কিছু লোক তাকে অপহরণ করে গাঁজা পান করায় এবং ধর্ষণ করে। পুলিশ তিনটি বিশেষ দল গঠন করে তদন্ত শুরু করে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে।
ইনস্টাগ্রামেই টোপ (Prostitution and Drug Trafficking Case)
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত ১৯ বছর বয়সী (Prostitution and Drug Trafficking Case) মুসকু লতা। তার সহযোগীরা হলেন আব্দুল আফনান, শেখ সাইলানি বাবা, মোহাম্মদ আলতাফ এবং ওয়াদুদ। পুলিশ জানায়, মুসকু লতা গত সাত-আট বছর ধরে এই পতিতালয় চালাচ্ছিল। সে তার বন্ধুর মেয়েকেও এই কাজে ব্যবহার করেছিল, যে পরে মারা যায়। টাকার লোভে অন্য মেয়েদের আকৃষ্ট করার জন্য মুসকু লতা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করত।

ব্ল্যাকমেইল করে ধর্ষণ
মুসকু লতা ওয়ারঙ্গলের আজমজাহি মিলস এলাকার এক মেয়ের সাথে ইনস্টাগ্রামে পরিচয় হয়। দুই মাস ধরে সে মেয়েটির সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলে। স্কুলের সময়ে তার সাথে দেখা করে, কেনাকাটা করে, নতুন পোশাক কিনে দেয় এবং তার প্রেমিক আব্দুল আফনানের সাথে মদ ও গাঁজা পান করায়। ১১ মার্চ মেয়েটিকে গাড়িতে করে নরসাম্পেটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শেখ সাইলানি বাবা তাকে গাঁজা খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে ধর্ষণ করে। পরে তাকে ব্ল্যাকমেইল করে মুলুগু ক্রস রোডে রেখে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: Navy Officer Body Chopped: ‘বাবা ড্রামে আছে’!, প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে ১৫ টুকরো করলো স্ত্রী!
মাদকাসক্ত করে যৌনকর্মে বাধ্য
পুলিশ অভিযুক্তদের কাছ থেকে দুই কেজি গাঁজা, একটি গাড়ি, ৭৫,০০০ টাকা নগদ, চারটি মোবাইল ফোন এবং প্রচুর কনডম জব্দ করেছে। এই চক্রটি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মেয়েদের সাথে বন্ধুত্ব করে, তাদের পারিবারিক সমস্যা জানার চেষ্টা করে এবং ছোট ছোট সাহায্যের মাধ্যমে তাদের আবেগগতভাবে আকৃষ্ট করত। পরে তাদের মাদকাসক্ত করে যৌনকর্মে বাধ্য করা হতো।