ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দিল্লিতে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে (Rabies) জলাতঙ্ক বা হাইড্রোফোবিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর। গরুর দুধ থেকে সংক্রমণের একটি বিরল ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে এই ঘটনা। মহিলাটি গরুর দুধ খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং হাসপাতালে নিয়ে যাবার পর তাঁর শরীরে র্যাবিস ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এই ঘটনার পর দিল্লি ও আশেপাশের এলাকার খামারগুলিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
জারি সতর্কতা (Rabies)
মহিলাটির মৃত্যুর পর ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ’ (আইসিএআর) সতর্কতা (Rabies) জারি করেছে। গবেষকদের মতে, মহিলাটি যে গরুর দুধ খেয়েছিলেন, সেই গরুটিকে কয়েক দিন আগে একটি কুকুর কামড়েছিল। এর ফলে গরুটির শরীরে র্যাবিস ভাইরাস সংক্রমিত হয় এবং দুধের মাধ্যমে তা মহিলার শরীরে প্রবেশ করে। দুধ ভালোভাবে ফোটানো না হলে এই ধরনের সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে।
জলাতঙ্কের হার (Rabies)
ভারতে প্রতি বছর প্রায় পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়ে (Rabies) মৃত্যুবরণ করেন। জলাতঙ্ক একটি মারাত্মক রোগ, যা র্যাবিস ভাইরাসের মাধ্যমে ছড়ায়। সাধারণত কুকুরের কামড় থেকে এই রোগ হয়, তবে আক্রান্ত প্রাণীর লালা, মলমূত্র বা দেহাবশেষ থেকেও এটি সংক্রমিত হতে পারে। এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশের সাত দিনের মধ্যে উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। প্রথমে জ্বর, গ্রন্থি ফুলে যাওয়া এবং শরীরে র্যাশ দেখা দেয়। এরপর রোগীর খিঁচুনি, পক্ষাঘাত, মুখ দিয়ে লালা পড়া এবং জল দেখলে ভয়ের মতো লক্ষণ দেখা দেয়। রোগীর কথা অসংলগ্ন হয়ে যায় এবং কিছু ক্ষেত্রে তিনি কোমায় চলে যেতে পারেন।
টিকা নেবার পরামর্শ
এই ঘটনার পর স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এলাকাবাসীকে অ্যান্টি-র্যাবিস টিকা এবং র্যাবিস ইমিউনোগ্লোবিউলিন (আরআইজি) প্রতিষেধক নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। এই দুটি প্রতিষেধক একসঙ্গে নিলে শরীরে দ্রুত অ্যান্টিবডি তৈরি হয় এবং দ্বিস্তরীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। এর ফলে প্রাণঘাতী সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।

চিকিৎসকের পরামর্শ
গবেষকরা জানিয়েছেন, র্যাবিস আক্রান্ত গরুর দুধে ভাইরাস থাকতে পারে এবং সঠিকভাবে দুধ ফোটানো না হলে তা মানবদেহে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে গরুর দুধ ভালোভাবে ফুটিয়ে নেওয়া এবং সংক্রমণের কোনো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।