ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দেখতে দেখতে প্রায় ১৫ বছর পার করল ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ (Didi No. 1) শো। যেখানে রচনা ব্যানার্জি (Rachna Banerjee) সঞ্চালনা করছেন টানা ১৩ বছর। কিন্তু জানেন কী, রচনা ব্যানার্জি এই শো’য়ের সঞ্চালনা করতেই চাননি। তাঁকে রীতিমত জোর করে এই শো’য়ের সঞ্চালনা করতে বাধ্য করা হয়। রচনা চেয়েছিলেন, সিনেমা করতে। সঞ্চালনার দিকে মনই ছিল না। কিন্তু হঠাৎ কী মনে করে, ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ এর সঞ্চালনা করতে এলেন? সেই সিক্রেট বললেন ট্রাইব টিভিকে।
হাজার পর্ব পার (Rachna Banerjee)
সম্প্রতি ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ এর মঞ্চে হাজার পর্বের সেলিব্রেশন হল। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, এক ঝাঁক তারকা। সেখানে দাঁড়িয়ে শিল্পী ইমন চক্রবর্তী বললেন, “কোথায় এমন শো আছে বলতে পারবেন? যে শো এক টানা ১৫ বছর ধরে চলছে! রচনা দি (Rachna Banerjee) ১৩ বছর পার করলেন। অথচ মানুষ একই উৎসাহের সঙ্গে দেখছে। এত ভালোবাসা দিচ্ছে”। সত্যি তো! পশ্চিমবাংলায় যত শো হয়েছে, তার মধ্যে ‘দিদি নম্বর ওয়ান’কে বাংলার ঘরে ঘরে মহিলারা সবাই এক নামে চেনে। যেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছে রচনা ব্যানার্জি।
তিনি খুব ব্যস্ত (Rachna Banerjee)
তিনি এখন ভীষণ ব্যস্ত (Rachna Banerjee)। অভিনয় সহ সঞ্চালনার পাশাপাশি যুক্ত রয়েছেন রাজনৈতিক ময়দানেও। তাঁর কথায়, “দিদি নম্বর ওয়ান শো তে যারা খেলতে আসেন, কিংবা যারা দেখেন, এই শো তাদের সবাইকে মন থেকে নাড়িয়ে দিয়েছে। তাদের মধ্যে একটা পরিবর্তন আসছে”। ১৩ বছর আগে তাঁকে জোর করে এই শো’য়ের সঞ্চালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। “পরিচালক তখন আমাকে জোর করে বলেছিলেন, তুমি আসো। তখন ঘরে ঘরে টিভি এত জনপ্রিয়তা পায়নি। তখন টিভির যুগ সবে আসছে। টিভি তার নিজের একটা জায়গা করে নিচ্ছে। সেই সময় দাঁড়িয়ে জি আর দূরদর্শিতা ছিল দারুণ”।
আরও পড়ুন: Abhishek-Aishwarya: অভিষেক-ঐশ্বর্যর সংসারে আসছে নতুন অতিথি! লজ্জায় লাল অভিনেতা
কী বলেন পরিচালক?
পরিচালক রচনাকে বলেছিলেন, “রচনা তুমি দিদি নম্বর ওয়ান শুরু করো। তুমি জানো না, এই শো’টা একটা সময় কোন জায়গায় পৌঁছাবে”। তখন রচনা বলেছিলেন “না, আমি সিনেমা করব। শো’তে যাব না।” কিন্তু অনেক জোরাজুরির পর, তিনি এই শো’য়ের সঞ্চালনার দায়িত্ব নেন। সেই ১৩ বছর আগে করা ভবিষ্যৎবাণী, এই শো বড় জায়গায় পৌঁছাবে। সেই ভবিষ্যৎবাণী সত্যি হয়েছে।
আরও পড়ুন: Madhumita Sarcar: ভীষণ বেহিসাবি মধুমিতা! তাঁর জীবনে এখন শুধুই বসন্ত
কোন কোন চ্যালেঞ্জ রয়েছে?
তুমুল ব্যস্ততার মাঝে, শো সঞ্চালনায় রচনার সামনে ঠিক কোন কোন চ্যালেঞ্জ রয়েছে? যদিও তাঁর কথায়, এই শো’কে তিনি কখনোই শো’য়ের মতো ভাবেননি। তিনি সবসময় ভেবেছেন, এটা একটা ন্যাচারাল ব্যাপার। তিনি স্বাভাবিক ভাবেই করার চেষ্টা করেছেন। আগে থেকে কোনও স্ক্রিপ্ট পড়েন না। ডায়লগও মুখস্ত করেন না। এমনকি যে দিদিরা খেলতে আসেন, তাদের পরিচয় পর্ব থেকে শুরু করে আলাপ পর্ব, কোনটাই ক্যামেরার পিছনে করতে হয় না। যা হয় ক্যামেরার সামনে সরাসরি। আর তাই তো, ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ এতটা স্বতঃস্ফূর্ত। এখানে সবাই খেলে মন থেকে। এই শো’য়ের জন্য রচনাকে আলাদা করে তৈরি হতে হয়নি।
সময় নেই নিজের জন্য
তিনি নিজের জন্য একদম সময় পাচ্ছেন না। আগের থেকে বিনোদন দুনিয়ায় কাজ কম করছেন। অন্যান্য ব্যবসায়িক কাজ দেখভাল করছেন তাঁর স্বামী। শাড়ির ব্যবসা দেখছেন স্টাফেরা। ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ এর মঞ্চের দিদির দায়িত্ব সেরে তাঁকে রাজনীতির ময়দানে কাজ করতে হচ্ছে। জনতার কথা ভাবতে হচ্ছে। তবে কি, রচনাকে অভিনেত্রী হিসেবে বড় পর্দায় আর কোনও দিনই দেখা যাবে না? তাঁর কথায়, এক্ষুনি বলতে পারছেন না। আগামী বছর ছেলে পড়াশোনা জন্য বাইরে যেতে পারে। তখন যদি সময় পান, ভালো চরিত্র পান। তাহলে অবশ্যই বড় পর্দায় ফিরবেন।