ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মহারাষ্ট্রে অসময়ের বৃষ্টির কারণে ব্যাপক (Rainfall in Mumbai) ক্ষতিসাধন হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়ার ফলে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। মুম্বই, পুণে, ঠাণে, রত্নগিরি, সিন্ধুদুর্গ এবং আরও কিছু এলাকা প্রভাবিত হয়েছে এই বৃষ্টির দ্বারা। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী চার দিন রাজ্যের একাধিক এলাকায় এমনই আবহাওয়া থাকবে এবং সেখানে হলুদ ও কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
রাস্তা জলমগ্ন হয়ে যান চলাচল ব্যাহত (Rainfall in Mumbai)
মুম্বইয়ের পোওয়াই এবং অন্ধেরি এলাকায় রাস্তা জলমগ্ন হয়ে যান চলাচল (Rainfall in Mumbai) ব্যাহত হয়েছে। বিশেষ করে পোওয়াইয়ের মতো জনবহুল এলাকাগুলোর ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে, যেখানে জলাবদ্ধতার কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। জলবায়ু কমপ্লেক্সের কাছে ঝড়ের কারণে গাছ উপড়ে গিয়ে রাস্তায় পড়ে, যা আরও জটিলতা সৃষ্টি করেছে। অন্ধেরি সাবওয়ে পুরোপুরি ডুবে গেছে, এবং বৃহন্নুম্বই পুরসভা ড্রেনেজ সিস্টেমে জটিলতা সমাধান করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুণেতেও একই অবস্থা, যেখানে বিমানবন্দরেও জল জমেছে এবং অপরিষ্কার ড্রেনের কারণে রাস্তায় জল উপচে পড়েছে।
দীর্ঘ রুটে রেল চলাচল বন্ধ (Rainfall in Mumbai)
এছাড়া ঠাণে জেলার মিরা-ভায়ন্দর, ভেরভালি এবং ভিলাভাড়ে স্টেশনে ভূমিধসের কারণে রেল চলাচল (Rainfall in Mumbai) ব্যাহত হয়েছে। কোঙ্কণ রেলওয়ের পরিষেবাও সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল। সন্ধ্যার দিকে ভূমিধসের কারণে রেললাইনের ওপর একটি ভারী পাথর পড়লে, প্রায় ৭৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ রুটে রেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে রেললাইন পরিষ্কার করার পর সার্বিক রেল পরিষেবা স্বাভাবিক হয়।

হলুদ সতর্কতা জারি
মহারাষ্ট্রের কিছু এলাকা, যেমন পুণে, রত্নগিরি, সিন্ধুদুর্গ, কোলাপুর, বীড, শোলাপুর এবং ছত্রপতি সম্ভাজি নগরে অতিভারী বৃষ্টির কারণে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই অঞ্চলগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। মুম্বই, পালঘর, ঠাণে, রায়গড়, ধুলে, নন্দুরবার, জলগাঁও, নাসিক, সাতারা, সাংলি, জালনা, অমরাবতী এবং ভান্ডারায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে, যেখানে বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: Apple to pay users: ব্যক্তিগত কথা রেকর্ড করার অভিযোগে মামলা! ৭৯০ কোটি ক্ষতিপূরণ মেটাবে অ্যাপল
এই অসময়ের বৃষ্টি কিছুটা গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহ থেকে মুক্তি দিলেও, তা রাজ্যের পরিবহন ব্যবস্থা এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ব্যাপক সমস্যা সৃষ্টি করেছে।