ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মেঘালয়ে ইন্দোরের ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশীর হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের একে একে জামিন পাওয়া নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে পরিবার। এই আবহে হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সোনম রঘুবংশীর দাদার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছে রাজা রঘুবংশীর পরিবার(Raja’s Brother)। রাজার ভাই বিপিন রঘুবংশীর অভিযোগ, সোনমের ভাই গোবিন্দ কলকাঠি নেড়ে মামলা দুর্বল করছেন।
সোনমের দাদা নাটক করছেন (Raja’s Brother)
এই মুহূর্তে স্বামী খুনে মূল অভিযুক্ত সোনম রঘুবংশী শিলং জেলে রয়েছে(Raja’s Brother)।‘অমর উজালা’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজার ভাই বিপিনের দাবি, সহানুভূতির নামে সোনমের দাদা গোবিন্দ নাটক করছেন। তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েও গোপনে সোনমে সঙ্গে জেলে যোগাযোগ রাখছেন। আর সে কারণেই গোবিন্দের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে রাজার পরিবার। তাঁদের দাবি, গ্রেফতার হওয়ার পর পরিবারের সঙ্গে চার বার কথা বলেছে সোনম। তাই বিপিনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজার ভাই।

রাজার পরিবারের পাশে সোনমের দাদা (Raja’s Brother)
তবে রাজা খুন হওয়ার পর তাঁর বাড়িতে গিয়ে রঘুবংশী পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সোনমের দাদা গোবিন্দ(Raja’s Brother)। এমনকী রাজার শেষকৃত্যের সময় দুই পরিবারের মধ্যে ঐক্যের ছবি ধরা পড়েছিল।সেই সময় গোবিন্দ বলেছিলেন, ‘আমি রাজার পরিবারের সঙ্গে তার শেষকৃত্য করতে এসেছি… তারা আমার পরিবারের মতো।’ সোনম সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন, ‘যদি সোনম দোষী সাব্যস্ত হয়, তাহলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত।’ এমনকী সোনম যাতে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি পান, সেই ব্যবস্থা করবেন তিনি।
সিবিআই তদন্তের দাবি (Raja’s Brother)
রাজা হত্যাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন তাঁর ভাই বিপিন(Raja’s Brother)। তাঁর অভিযোগ, ‘সোনমের পরিবার দাবি করেছিল, তাঁর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। কিন্তু সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। সোনমের সঙ্গে তাঁর পরিবারের সদস্যদের চার-পাঁচ বার কথা হয়েছে। পুরো পরিবার এর সঙ্গে জড়িত।’ তাঁর কথায়, ‘তারা একজন আইনজীবী নিয়োগ করেছে এবং সোনমের জামিনের জন্য চেষ্টা করছে। প্রথমে সোনম বিশ্বাসঘাতকতা করেছে রাজার সঙ্গে। এবার সোনমের দাদা আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে।’

অসুস্থ রাজার মা (Raja’s Brother)
বৃহস্পতিবার শিলংয়ের একটি স্থানীয় আদালত মামলার অন্যতম অভিযুক্ত শিলোম জেমসকে ৫০,০০০ টাকার বন্ড ও দু’জন জামিনদারের শর্তে জামিন মঞ্জুর করেছে(Raja’s Brother)।আর জামিনের খবর জানার পরে রাজার মা, উমা রঘুবংশীর শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে পড়ে এবং তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। তিনি বলেন, ‘যারা আমার ছেলের খুনের প্রমাণ নষ্ট করেছে তারা আজ মুক্ত। আমরা প্রশাসনের কারও কাছ থেকে কোনও খবর পাইনি। আমি দরকার হলে শিলংয়ে গিয়ে আমার ছেলের ন্যায়বিচার চাইব।’
ঘটনার বিবরণ (Raja’s Brother)
গত ২০ মে মধুচন্দ্রিমায় মেঘালয়ে ঘুরতে যান নবদম্পতি রাজা রঘুবংশী ও সোনম রঘুবংশী(Raja’s Brother)। ২৩ মে চেরাপুঞ্জিতে পৌঁছনোর পর নিখোঁজ হয়ে যান তাঁরা। এই ঘটনার ১১ দিন পর খাদ থেকে উদ্ধার হয় রাজার দেহ। তবে খোঁজ মেলেনি সোনমের। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে খোঁজাখুঁজির পর, সোনমকে মেঘালয় থেকে ১,২০০ কিলোমিটার দূরে উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরের একটি ‘ধাবা’ থেকে পাওয়া যায়। সেখান থেকে বাড়িতে ফোন করে সোনম। সেই ফোনের সূত্র ধরে তাঁকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। তদন্তে জানা গেছে, সোনমের প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল।
