ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বিধানসভা থেকে প্রশ্ন তুলে দিতে জন্য ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগে (Rajasthan MLA Arrested) গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই বিধায়ককে। ২০ লক্ষ টাকা ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ভারত আদিবাসী পার্টির (বিএপি) বিধায়ক জয়কৃষ্ণ প্যাটেলকে। রবিবার, জয়পুরে, তাঁর সরকারি বাসভবনে ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় গ্রেপ্তার করা হয় জয়কৃষ্ণ প্যাটেলকে। তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে রাজস্থান পুলিশের দুর্নীতি দমন ব্যুরো (এসিবি)।
আড়াই কোটি টাকায় চুক্তি নিষ্পত্তি (Rajasthan MLA Arrested)
বিধানসভায় খনি সংক্রান্ত প্রশ্ন মুছে ফেলার পরিবর্তে ১০ কোটি টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ রয়েছে বিধায়কের বিরুদ্ধে। এসিবি ডিজি ডঃ রবি প্রকাশ মেহেরদা জানিয়েছেন, খনি ব্যবসায়ী রবিন্দর সিং ৪ এপ্রিল অভিযোগ করেছিলেন যে বিধায়ক বিধানসভায় খনি সম্পর্কিত ৯৫৮, ৬২৮ এবং ৯৫০ নম্বর প্রশ্ন রেখেছিলেন এবং পরে সেগুলি সরানোর বিনিময়ে ১০ কোটি টাকা দাবি করেছিলেন (Rajasthan MLA Arrested)। আলোচনার পর আড়াই কোটি টাকায় চুক্তি নিষ্পত্তি হয়।
নোটগুলিতে বিশেষ কালি লাগানো (Rajasthan MLA Arrested)
প্রথম কিস্তি হিসেবে বাঁশওয়ারায় জয়কৃষ্ণকে নগদ ১ লক্ষ টাকা দেন ওই ব্যবসায়ী (Rajasthan MLA Arrested)। এরপর এসিবি নজরদারি শুরু করে এবং প্রমাণ সংগ্রহ করে। পরবর্তী ২০ লক্ষ টাকার কিস্তি জয়পুরে বিধায়কের বাসভবনে দেওয়ার কথা ছিল। ফাঁদ পাতা হয়। ঘটনার দিন বিধায়ক নিজে জয়পুরে পৌঁছে যান। তাঁর হয়ে নোট ভর্তি একটি ব্যাগ গ্রহণ করেন অন্য একজন। পরে তা বিধায়কের হাতে যায়। এরপর হাতেনাতে ধরা পড়েন তিনি। এসিবি দাবি করেছে যে ঘুষের জন্যে দেওয়া সেই নোটগুলিতে বিশেষ কালি লাগানো হয়েছিল। অডিয়ো, ভিডিয়ো ও ছবি তোলা হয়েছে ঘুষ নেওয়ার ঘটনার। ব্যাগ তোলার সময় বিধায়কের আঙুলে কালি পাওয়া যায়।
‘বিজেপি সরকারের ষড়যন্ত্রও হতে পারে’
জয়কৃষ্ণের গ্রেফতারির পর ভারত আদিবাসী পার্টির (বিএপি) আহ্বায়ক এবং বাঁশওয়াড়ার সাংসদ রাজকুমার রোয়াত বলেছেন, ‘‘এই বিষয়ে এখনই কিছু বলব না। এটি বিজেপি সরকারের ষড়যন্ত্রও হতে পারে। আমরা নিজেরাও বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। যদি এই ঘটনায় সত্যই উনি জড়িত থাকেন, তা হলে দল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’’ এসিবির ডিজি বলেন, ‘এই নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই তদন্ত চলছিল। রবিবার এসিবির আধিকারিকরা একটা ফাঁদ পাতেন। এমএলএ হোস্টেলে ২০ লক্ষ নেওয়ার সময়েই হাতেনাতে ধরা হয় ওই বিধায়ককে।’ এসিবির ডিরেক্টর জেনারেল রবিপ্রকাশ মেহরদার কথায়, ‘‘রাজস্থান এসিবি-র ইতিহাসে এই প্রথম কোনও বিধায়ক দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হলেন।’