ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: এখন বন্দুক বা গুলি দিয়ে আর যুদ্ধ জেতা যায় না। যুদ্ধ জেতার অন্যতম হাতিয়ার এখন সামরিক রসদ সঠিক সময় জোগান দিতে পারা। গতিশক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এমনটাই জানালেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং(Rajnath Singh)।
অপারেশন সিঁদুর (Rajnath Singh)
রবিবার গতিশক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, পহেলগাঁও হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে মে মাসে ভারতের অপারেশন সিঁদুর সেই কথা প্রমাণ করে দেখিয়েছে(Rajnath Singh)। ভারতের রেলমন্ত্রকের অধীনস্থ এই বিশ্ববিদ্যালয় মূলত জোগানকেন্দ্রিক বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে যুদ্ধের রসদের দিকটি তুলে ধরেন রাজনাথ।তিনি বলেন, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি লক্ষ্য করে এই অভিযান চালানোর পর প্রমাণিত হয়েছে একাধিক সংস্থার সমন্বয় কীভাবে প্রয়োজনীয় উপকরণ সঠিক সময়ে সঠিক স্থানে পৌঁছে দিতে সাহায্য করেছে। আধুনিক যুদ্ধে জয় এর উপরেই নির্ভর করে। তাঁর কথায়, ‘যুদ্ধ কেবল বন্দুক এবং গুলি দিয়ে জেতা হয় না, বরং তাদের সময়মতো পরিবহনের উপর নির্ভর করে জেতা।’

কৌশলগত সম্পদ (Rajnath Singh)
একই সঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জোর দেন সরবরাহ ব্যবস্থাকে একটা কৌশলগত সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করার উপর(Rajnath Singh)। রাজনাথ সিং বলেন, ‘সরবরাহ ব্যবস্থা বা রসদের জোগানই একটি যুদ্ধক্ষেত্রকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করে। সরবরাহ ব্যবস্থা না থাকলে গোটাটাই বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতিতে পরিনত হবে।’
আরও পড়ুন-Ladki Bahin: মহিলা-ভাতা পেয়েছেন ১৪,০০০ পুরুষ! মহারাষ্ট্রে সরকারি খাতে উধাও কোটি কোটি টাকা
রসদের জোগান (Rajnath Singh)
তবে রসদের জোগান ভিন্ন বাহিনীর জন্য ভিন্ন ভিন্ন বলে জানান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং(Rajnath Singh)। তার কথায়, ‘সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বায়ুসেনাতে সরবরাহের অর্থ ভিন্ন। সেনাবাহিনীর জন্য রদস জোগানের অর্থ অস্ত্র, জ্বালানি, রেশন এবং ওষুধ প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছানো। আবার নৌবাহিনীর জন্য এর অর্থ হল জাহাজে খুচরা যন্ত্রাংশ পৌঁছে দেওয়া এবং সরঞ্জাম সম্পর্কে। বায়ুসেনার জন্য এর অর্থ নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্রাউন্ড সাপোর্ট দিতে থাকা। পাশাপাশি জ্বালানি সরবরাহ ঠিক রাখা।’

আরও পড়ুন-Space Sector: ‘শুভাংশুর সাফল্যে মহাকাশ নিয়ে উৎসাহ বেড়েছে!’ রবিবাসরীয় বিশেষ বার্তা প্রধানমন্ত্রীর
সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি চিরতরে ধ্বংস (Rajnath Singh)
গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে নৃশংস জঙ্গি হামলায় নিরীহ ২৬ জন মানুষের মৃত্যু হয়(Rajnath Singh)। কেন্দ্রীয় সরকারের ভাষায়, ‘পাকিস্তান-প্রযোজিত’ এই বর্বরতার জবাবে ৭ মে শুরু হয় ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’। লক্ষ্য ছিল, সীমান্তের ওপারে থাকা সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলিকে চিরতরে ধ্বংস করা।ভারতের টার্গেট করা স্ট্রাইক-এ ধ্বংস হয় পাকিস্তানের ৯টি জঙ্গি পরিকাঠামো। যারা ছিল জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তৈবা ও হিজবুল মুজাহিদিন-এর মতো সংগঠনের অধীন। নিকেশ হয় ১০০-রও বেশি জঙ্গি।সিদ্ধান্ত স্পষ্ট, সীমান্তে হানা মানেই চুপচাপ বসে থাকা নয়। অস্ত্রের পাশাপাশি জ্ঞান, অভিজ্ঞতা আর কৌশলের মিশেলেই নতুন ভারতের জবাব তৈরি, সঠিক সময়ে, সঠিক টার্গেটে, সঠিক মাত্রায়।
