ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গত কয়েক বছরে রামনবমী উদযাপন অনেক বড় (Ram Navami 2025) আকারে অনুষ্ঠিত হয়েছে, এবং এবার সেই পালা আরও জোরেশোরে চলছে। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি এবার আরও বড় আকারে রামনবমী পালন করার ডাক দিয়েছে। এই উৎসবে পিছিয়ে নেই শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসও। রবিবার কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা রাম মন্দির ও হনুমান মন্দিরে গিয়ে পুজো অর্চনা করেন, শোভাযাত্রায় যোগ দেন এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলিতে অংশগ্রহণ করেন।
মুখ্যমন্ত্রীর রামনবমীর শুভেচ্ছা (Ram Navami 2025)
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এদিন সকালে রাজ্যবাসীকে রামনবমীর (Ram Navami 2025) শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, ‘‘রাম নবমীর পবিত্র তিথিতে সবাইকে শুভেচ্ছা। শান্তিপূর্ণভাবে রাম নবমীর উৎসব পালন করতে সকলকে অনুরোধ জানাচ্ছি এবং তার সাফল্য কামনা করছি।’’ মমতার এই বার্তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছাড়াই শান্তিপূর্ণ উদযাপনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।
রাজনীতির খেলা (Ram Navami 2025)
তবে রামনবমী উদযাপন নিয়ে রাজনীতির (Ram Navami 2025) খেলা চলছেই। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি তৃণমূল কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছে। তারা অভিযোগ করেছে যে শাসকদল রামনবমী উদযাপনকে রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার হাতিয়ার বানাচ্ছে।
বিজেপির সমালোচনা
শশী পাঁজা, রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী, রামনবমী উপলক্ষে বাগবাজারে হনুমান মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে বিজেপির সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘রামনবমী নিয়ে অহেতুক রাজনীতি করছে বিজেপি।’’ তিনি আরও জানান, তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে নয়, সাধারণ মানুষ হিসেবেই পুজো দিতে এসেছেন।
বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা
অন্যদিকে, চুঁচুড়ায় তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের নেতৃত্বে রামনবমী উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সংকীর্তন এবং রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। ক্যানিংয়ের তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লা ভাঙড়ের বোদরা থেকে রামনবমীর মিছিলে অংশ নেন। এখানে সাঁওতালি নাচ, মাদল বাজিয়ে রামনবমী উদযাপন করা হয়।
শিলিগুড়ির মেয়রের পুজো
শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবও রামনবমী উপলক্ষে মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়েছেন এবং নানা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। শিলিগুড়ির রামকৃষ্ণ মিশনে রামনবমীর পুজোয় অংশগ্রহণ করার পাশাপাশি তিনি নিজের বাড়িতে নারায়ণ পুজোও করবেন।
আরও পড়ুন: Ram Navami 2025: রাজ্যের রাস্তা জুড়ে রামনবমী, কোন পথে গেলে সুবিধা?
বীরভূমের সিউড়িতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে রামনবমী উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এখানে উপস্থিত ছিলেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় ও সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী। এই মিছিলটি সিউড়ি শহর ঘুরে শেষ হয় এবং শেষপর্যন্ত হনুমান মন্দিরে পুজো দিয়ে এটি শেষ হয়।